নয়াদিল্লি: করোনা প্যান্ডেমিক রুখতে দীর্ঘ লকডাউনে ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি৷ এই অবস্থায় মানুষের আর্থিক সমস্যা মেটাতে বেশ কিছু সুবিধা দিচ্ছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)৷
আপনি যদি চাকরি হারিয়ে থাকেন, কিংবা চাকরি জীবনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কাজ ছেড়ে দিয়ে থাকেন, তাহলেও ইপিএফ থেকে টাকা তুলতে পারবেন৷ তবে আয়কর আইন অনুযায়ী, এক্ষেত্রে টাকা তোলার জন্য আয়কর দিতে হবে৷
ইপিএফ আইন অনুযায়ী, কাজ ছাড়ার এক মাস পরেও মোট টাকার ৭৫ শতাংশ তুলে নিতে পারবেন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার৷ আগের নিয়ম অনুযায়ী, কাজ ছাড়ার এক মাস পর আর টাকা তুলতে পারতেন না কর্মীরা৷ বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি দু’মাস বা তার চেয়ে বেশি সময়ের জন্য বেকার থাকেন, তাহলে ইপিএফ অ্যাকাউন্টের বাকি ২৫ শতাংশ টাকাও তুলে নিতে পারবেন তিনি৷ যার অর্থ একজন বেকার ব্যক্তি চাইলে পিএফ-এর ১০০ শতাংশ টাকাই তুলে নিতে পারবেন৷
ইপিএফও-র নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিয়ের জন্য কোনও মহিলা যদি চাকরি ছাড়েন, তাহলে সম্পূর্ণ টাকা তোলার জন্য তাঁকে দু’মাস অপেক্ষা করতে হবে না৷ এছাডা়ও ৫৪ বছরের বেশি হলে যে কোনও সময় সঞ্চয়ের ৯০ শতাংশ টাকা তুলে নিতে পারবেন পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার৷
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, পাঁচ বছর চাকরি করার আগেই কেউ যদি কাজ ছেড়ে দেন, সেক্ষেত্রে পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য কর দিতে হয়৷ তবে চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলে আর কর দিতে হয় না৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের আগে টাকা তোলায় কর ছাড় দেওয়া হয়-
*অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের অসুস্থতা, কিংবা সংস্থার কর্তৃপক্ষ ব্যবসা বন্ধ করে দিলে টাকা তোলার ক্ষেত্রে মিলবে আয়কর ছাড়ের সুযোগ৷
* ইপিএফ প্রকল্পের আওতায় অগ্রিমের জন্য আয়কর প্রযোজ্য নয়৷
*নিয়োগকর্তার আওতার বাইরে অন্য কোনও কারণে টাকা তোলা হলেও, মিলবে কর ছাড়৷
* ৫০ হাজারের কম টাকা তোলা হলে বা নিয়োগকর্তা ব্যবসা বন্ধ করে দিলে, টিডিএস আদায় করা হয় না৷
* টাকার অঙ্ক ৫০ হাজারের বেশি এবং চাকরির সময়কাল পাঁচ বছরের কম হলে, টিডিএস এড়াতে উপভোক্তাকে ১৫জি/ ১৫এইচ ফর্ম জমা দিতে হবে৷ সেইসঙ্গে ওই বছরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপার্জন আয়কর সীমার নীচে হতে হবে৷