ভুবনেশ্বর: রাজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসবের জন্য কেন্দ্রের জারি করা বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছে না ওড়িশা সরকার! রথের জন্য পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইতদের করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ ২৮ দিনের ব্যবধানে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই রাজ্যের সরকার৷ এক্ষেত্রে করোনা টিকার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের জারি করা ৮৪ দিনের ব্যবধানের নিয়ম মানা হচ্ছে না৷ শুধু সেবাইতরাই নন, পুলিশ এবং এই রথ যাত্রার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদেরও করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে৷ সেজন্য অবশ্যই করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও আবশ্যিক৷
সম্প্রতি পুরীর ডিস্ট্রিক্ট কালেকটর সমর্থ ভার্মা রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখেন যে, পুরীর সেবাইতদের কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ ৮৪ দিনের ব্যবধানের আগেই দেওয়ার অনুমতি দিতে৷ তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দিয়েই প্রশাসনের তরফে পুরীর সেবাইত এবং মন্দিরের অন্যান্য কর্মীদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করে, ৮৪ দিনের ব্যবধানের আগেই তা প্রদানের অনুমিত দেয়৷
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গুন্ডিচা দেবীর মন্দিরে রথ নিয়ে যাওয়ার রীতি জারি থাকলেও, তিনটি রথ টানতে দেড় হাজারের বেশি সেবাইত থাকার অনুমতি দেয়নি ওড়িশা সরকার। ফলে এক একটি রথের দড়ি টানতে ৫০০ জন সেবাইত থাকতে পারবেন৷ এমনকি করোনা পরিস্থিতিতে রথ যাত্রার অনুষ্ঠানের অনুমতি দিলেও, ভক্তদের সেখানে থাকতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ রথ যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে পুরী শহরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এত কম সংখ্যক সেবাইত নিয়ে কী ভাবে রথ টানা হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে মন্দির কমিটি। রথ যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে সেবাইতদের আরটিপিআর পরীক্ষা করা হবে। মে মাস থেকে পুরীর সব হোটেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।