বদলে যাওয়া ক্যাম্পাসে টিটি পেটালেন নোবেলজয়ী, ভাসলেন আবেগে

নয়াদিল্লি: নোবেল জয়ের পর অবশেষে নিজের ফেলে যাওয়া ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, গবেষক, অধ্যাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ দুপুরে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছে যান তিনি৷ সেখানে গিয়ে ক্যাম্পাস চত্বর ঘুরে৷ ক্যান্টিনে গিয়ে ছিলেন টিটি৷ হোস্টেল থেকে শুরু করে বদলে যাওয়া ক্যাম্পাস ঘুরে আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠেন তিনি৷ অন্যদিকে, জানা গিয়েছে আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র

নয়াদিল্লি: নোবেল জয়ের পর অবশেষে নিজের ফেলে যাওয়া ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, গবেষক, অধ্যাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ দুপুরে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছে যান তিনি৷ সেখানে গিয়ে ক্যাম্পাস চত্বর ঘুরে৷ ক্যান্টিনে গিয়ে ছিলেন টিটি৷ হোস্টেল থেকে শুরু করে বদলে যাওয়া ক্যাম্পাস ঘুরে আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠেন তিনি৷

অন্যদিকে, জানা গিয়েছে আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকার করবেন নোবেলজয়ী৷ মোদির সঙ্গে দেখা করা পর মঙ্গলবার কলকাতায় আসবেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাংলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি৷

জানা গিয়েছে, আজ ভারতে পা রেখে সোজা চলে যান ক্যাম্পাসে৷ ক্যান্টিনে গিয়ে টিটি খেলেন৷ ক্যাম্পাস চত্বর ঘুরে দেখেন৷ এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন৷ পুরনো স্মৃতিকে খুঁজে পেতে এদিন ক্যাম্পাস চত্বরে বেশ খানিকক্ষণ কাটান৷

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৬১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন৷ বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান৷ মাও ছিলেন অর্থনীতির পড়ুয়া৷ মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতার অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক৷

তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করেন৷ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি নিয়ে শুরু করেন উচ্চ শিক্ষা৷ ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বিএস ডিগ্রি ছিনিয়ে আনেন৷ পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ করেন৷ ১৯৮৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে গবেষণার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন৷ অর্থনীতিতে তাঁর গবেষণার বিষয়টি ছিল, এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস৷

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির অধীনে ফুর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগে আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত৷ তাঁর কাজের মূল লক্ষ্য, দারিদ্র মুক্ত অর্থনীতি৷ ২০০৪ সালে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলোশিপ পান৷ ২০০৯ সালে অর্থনীতির সামাজিক বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ইনফোসিস পুরস্কার পান তিনি৷ ২০১২ সালে পুওর ইকোনমিকস বইয়ের জন্য ইসথার ডাফলো ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যৌথভাবে জেরাল্ড লুয়েব অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়৷ ওই বছর এবিপি আনন্দে সেরা বাঙালি পুরস্কার পান৷ ২০১৩ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে নিযুক্ত হন৷ ২০১৪ সালে তিনি কিইল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি থেকে বার্নহার্ড-হামস-পুরস্কার পান৷ ২০১৯ সালে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৩৪তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনু সামাজিক নীতির পুনঃপ্রণয়ন বিষয়ক বক্তৃতা দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *