নয়াদিল্লি: আবার করোনার রক্তচক্ষু দেখা দিচ্ছে দেশে। দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর আবার দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩ লক্ষ পার হয়ে গিয়েছিল গতকাল। নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের দাপটও হু হু করে বাড়ছে। পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক মৃত্যুও, যদিও গতকালের তুলনায় তা কমেছে। কিন্তু আজ দৈনিক আক্রান্ত সামান্য কমলেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার করেছে যা চিন্তার।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজির বিশাল গ্রানাইট মূর্তি, টুইটে জানালেন নমো
আজকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭০৪ জন, গতকালের থেকে ৯ হাজার ৫৫০ কম। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৮৮ জনের। মৃত্যুও গতকালের তুলনায় কমেছে। তবে দেশের মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৮৪। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট সুস্থের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৭৬ জন। অন্যদিকে পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশের মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৬৫ জন। তবে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। আপাতত তা হয়েছে, ১০ হাজার ০৫০, গতকালের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩.৬৯ শতাংশ। আর এই মুহূর্তে দেশের পজিটিভিটি রেট ১৭.২২ শতাংশ। সংক্রমণের তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্র। তারপরই রয়েছে কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু।
দেখতে দেখতে গোটা বিশ্বে এখন ত্রাস ছড়িয়ে ওমিক্রন আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। কিন্তু হঠাৎ এত ক্ষমতাবান কী করে হয়ে উঠল করোনার এই প্রজাতি? তার উত্তর এবার মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই প্রজাতির এত শক্তিশালী হওয়ার প্রধান কারণ সচেতনতার অভাব। মনে করা হচ্ছে, যেহেতু ওমিক্রনের উপসর্গ মৃদু তাই অনেকেই এর সংক্রমণকে পাত্তা দেননি। অবহেলা করেছেন। তাই এত বেড়ে গিয়েছে এর সংক্রমণ। গবেষকদের ব্যাখ্যা, মূলত ওমিক্রন আক্রান্ত হলে তার লক্ষণ পাঁচ দিনের মাথায় দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে আক্রান্ত হওয়া অবস্থাতেই বাইরে বেরিয়েছেন। যার ফলে জ্ঞানত বা অজ্ঞানত অবস্থায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বেশি করে। আবার কেউ উপসর্গ বুঝতে পেরেও ইচ্ছাকৃত বাইরে মেলামেশা করেছেন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে।