নয়াদিল্লি: সার্বিকভাবে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনে হলেও ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে চিন্তা বেড়েই চলেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা মোটামুটি এক থাকলেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৪১৫। তবে সুস্থতার হারে কিছুটা স্বস্তি মিলছে ভারতে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১১৫ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং এখন মোট ৩০০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই ভাইরাসের নয়া প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়ে। আপাতত ওমিক্রন সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, সেখানে ১০৮ জন এই প্রজাতিতে আক্রান্ত। এরপরই রয়েছে দিল্লি, সেখানে ৭৯ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই রয়েছে গুজরাট। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪৩ জন। দেশের ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফ থেকে জানান হয়েছে, দেশে যারা ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ টিকাপ্রাপ্ত। সঠিক হিসেবে দেখা যায়, ১০ জনের মধ্যে ৯ জন টিকাপ্রাপ্ত ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র বলছে, এই সংক্রমণ রুখতে কেবলমাত্র ভ্যাকসিনই পর্যাপ্ত নয়। কারণ একাধিকবার অভিযোজিত হয়ে তৈরি হওয়া এই প্রজাতি টিকাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দেশের ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ শতাংশের ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এদিকে, যে ওমিক্রন আক্রান্তদের নিয়ে এই পর্যালোচনা চালানো হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, ৮৭ জনই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত। আবার ৩ জন বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। তাই কেন্দ্র স্পষ্ট করে জানাচ্ছে যে, টিকার পাশাপাশি সার্বিকভাবে কোভিড বিধি মেনে চললেই এই প্রজাতিকে হারানো সম্ভব। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশী দাবি করেছেন যে, ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ডেলমিক্রন’। সেটাই নাকি এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ছোটখাটো সুনামি এনেছে। এটিই করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। এর কারণে আগামী দিনে বড় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হতে চলেছে।