কলকাতা: বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেরাচ্ছে করোনা৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ সংক্রমন রুখতে বারবার কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ সংক্রমণ মোকাবিলার প্রথম ধাপ হল মাস্ক পরা৷ কিন্তু সব মাস্ক কি সংক্রমণ রুখতে সক্ষম? তা নিয়ে জনমানসে বিভ্রান্তি বিস্তর৷ সম্প্রতি একটি গবেষণার ভিত্তিতে গবেষকরা জানাচ্ছেন, সব ধরনের মাস্ক কোভিড সংক্রমণ রুখতে সক্ষম নয়৷ তারা জানিয়ে দিলেন কোন মাস্ক কতটা সক্ষম৷
আরও পড়ুন- ভীত নয়, সতর্ক থাকুন! সংক্রমণ রুখতে মেনে চলুন এই পাঁচটি নিয়ম
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিড রুখতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী হল এন৯৫ মাস্ক। মাস্ক না পরা একজন কোভিড আক্রান্ত রোগীর সামনে যদি এন৯৫ মাস্ক পরা একজন সুস্থ মানুষ থাকেন, তাহলে তা প্রায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাঁকে রক্ষা করতে পারবে। আর আক্রান্ত ব্যক্তি আর সুস্থ্য মানুষ দু’জনেই যদি মাস্ক পরে থাকেন তাহলে কোভিড রোগীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে প্রায় ২৫ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে।
তবে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ এন৯৫ মাস্ক পরে থাকতে পারেন না৷ তাঁরা ঝোঁকেন সাধারণ কাপড়ের মাস্কের উপরে৷ সেই সকল ব্যক্তিদের সতর্ক করে দিয়েছেন গবেষকরা৷ তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ওমিক্রন রুখতে কাপড়ের মাস্ক বিশেষ কার্যকরী নয়। গবেষণা বলছে, কোনও কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সামনে এই ধরনের একস্তরীয় কাপড়ের মাস্ক পরে গেলে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ঢুকে পড়বে করোনা ভাইরাস৷ রোগী এবং সুস্থ ব্যক্তি দুজনেই এই ধরনের এক স্তরীয় মাস্ক পরে থাকলে সংক্রমণ ছড়াতে সময় লাগবে মাত্র ২৭ মিনিট।
এই অবস্থায় গবেষকরা মনে করছেন, কাপড়ের মাস্কের চেয়ে সার্জিক্যাল মাস্ক পরা অনেক বেশি কার্যকরী হবে৷ একটি সার্জিক্যাল মাস্ক আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে একজন সুস্থ মানুষকে প্রায় ৩০ মিনিট রক্ষা করতে পারবে৷ বিশেষজ্ঞদের জানাচ্ছেন, ওমিক্রন করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। তাই সংক্রমণের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করাও বেশ কঠিন। কাজেই বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছেন যে, মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে রাখা, বারবার মাস্কে হাত দেওয়ার মতো বিষয়গুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। গবেষকরা এও জানিয়েছেন যে, কোনও রকম মাস্কের প্রতিরোধ না থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট।