টালমাটাল শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ, সাক্ষ্য দিতে ডাকা হল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে

টালমাটাল শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ, সাক্ষ্য দিতে ডাকা হল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে

নয়াদিল্লি:  তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ গিয়েছেন অনেক আগেই৷ কিন্তু দলত্যাগ আইন মেনে তা হয়নি৷ তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই আবেদনে সাড়া দেন ওম বিড়লা৷ কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর লোকসভার সদস্য পদ খারিজ সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তাই ডেকে পাঠানো হল সুদীপকে। আগামী ২৬ এপ্রিল বেলা সাড়ে বারোটা থেকে ১ টার মধ্যে মৌখিক সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সুদীপকে সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷

আরও পড়ুন- অখণ্ড ভারত নিয়ে বড় ঘোষণা ভাগবতের! বাধা পেলে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঙ্কার

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সাংসদ৷ তবে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বেসুরো হন শিশির৷ শিবির বদল করেন অশীতিপর সাংসদ। তবে এখনও আইন মেনে সেই বদলবদল হয়নি৷ সেই অভিযোগেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ তথা সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার আবেদন জানানোর পরেও এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি স্পিকার৷ তবে এবার সুদীপকে ডেকে পাঠানো হল সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য৷ প্রসঙ্গত, শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি লোকসভার প্রিভিলেজ এবং এথিক্স কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে। সেখান থেকেই ডাক পাঠানো হয়েছে সুদীপকে৷

আগামী ২৬ তারিখ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সংসদ ভবনের ডেকে পাঠানো হয়েছে সুদীপকে। তবে, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেই মন্তব্য সুদীপের। তৃণমূল সাংসদের কথায়, ‘‘লোকসভার অধ্যক্ষের  অনুমোদন ক্রমে ২২ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সংসদের খাদ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির স্টাডি ট্যুর রয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সেসময় শ্রীনগর ও মহারাষ্ট্রে থাকব। কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।”