দিল্লি: করোনার জেরে বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন। কর্মক্ষেত্রেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। শেয়ার বাজারেরও বেহাল দশা। এই মুহূর্তে দেশবাসীর একটাই আতঙ্ক— করোনা। স্কুল কলেজ বন্ধ এই রাজ্যেও। চাকরিজীবীদের একাংশ অফিস থেকে মুখ ফিরিয়ে ঘরে বসেই কাজ করছেন। অফিসের তরফেও করা হয়েছে পদক্ষেপ। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে পড়ে 'মার' খাচ্ছেন ক্যাব চালকরা। বেঙ্গালুরুর ক্যাব চালক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার সতর্কতায় অফিস থেকেই যেহেতু কর্মচারীদের 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'-এর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই সমস্যার মুখে পড়ছেন ওলা উবের চালকরা।
'ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। কোনওমতে ধুঁকছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যবসা পড়েছে। যেহেতু একাধিক সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে, তাই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।' মালিক ও চালক সংগঠনের তরফে তনবীর পাশা জানিয়েছেন, 'চালক সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, কর্নাটক সরকারের কাছে তারা তাদের ব্যাঙ্কের ঋণে বিশেষ ছাড়ের দাবি জানিয়েছে। ক্যাব ব্যবসায় এই দুরবস্থার জন্য প্রায় ৫ শতাংশ চালক শহর ছেড়েছেন। কেউ কেউ নিরাপত্তার কথা ভেবে শহর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয় পরিজনের ঠিকানায়। বাকি যাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন, তাঁদের অবস্থাও শোচনীয়।'
ওলা, উবেরের মতো ক্যাবগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যাত্রী বলতে অফিস কর্মচারীরা। আর তাঁরাই যেহেতু বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না, তাই তৈরি হয়েছে এই সংকট। সূত্রের খবর, মোভিইনসিঙ্ক নামে একটি ক্যাব সংস্থার প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক ট্রিপ ঢুকত, কয়েকদিন ধরে তার প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সংস্থার তরফে দীপেশ আগরওয়াল বলেন, 'করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেহেতু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাই সাধারণ অফিস যাত্রীদের মনেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।' এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্যাব ব্যবসা। করোনার জেরে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার কথা শোনা গেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর টুইটেও। যদিও এই পরিস্থিতির জন্য তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।