এই বনাধিকারিকের হাতে গড়ে উড়েছে ইকো-ভিলেজ, ৮০% লভ্যাংশের পাচ্ছেন স্থানীয়রা

পরিবেশ দূষণ নিয়ে যখন সর্বত্রই জল্পনা, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও মহানদী নদীর তীর বরাবর গড়ে উঠেছে উড়িষ্যার প্রথম ইকো-ভিলেজ। যার অন্যতম প্রধান কারিগর প্রাক্তন ডিভিশনাল বন আধিকারিক অংশু প্রজ্ঞান দাস। বর্তমানে স্থানীয় গ্রামবাসীদের রুটিরুজির দিশা দেখিয়েছে ইকো-ভিলেজটি। নয়াগড় জেলার মুদুলিগাদিয়ার সাতকোশিয়া সংলগ্ন এই পর্যটনকেন্দ্রটি যেন আস্ত একটা স্বর্গ।

79da78f98b9591bb84d3ca4b1257c07b

 

ভুবনেশ্বর: পরিবেশ দূষণ নিয়ে যখন সর্বত্রই জল্পনা, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও মহানদী নদীর তীর বরাবর গড়ে উঠেছে উড়িষ্যার প্রথম ইকো-ভিলেজ। যার অন্যতম প্রধান কারিগর প্রাক্তন ডিভিশনাল বন আধিকারিক অংশু প্রজ্ঞান দাস। বর্তমানে স্থানীয় গ্রামবাসীদের রুটিরুজির দিশা দেখিয়েছে ইকো-ভিলেজটি। নয়াগড় জেলার মুদুলিগাদিয়ার সাতকোশিয়া সংলগ্ন এই পর্যটনকেন্দ্রটি যেন আস্ত একটা স্বর্গ।

92aeb3e84d643bf367dac931958c82aa

সাতকোশিয়া অভয়ারণ্যের সংলগ্ন ছোট্ট গ্রাম। জীবনধারণের জন্য গ্রামবাসীদের কাছে বনজ সম্পদই একমাত্র অবলম্বন ছিল। কিন্তু সেখান থেকে তাঁরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। হাতে হাত মিলিয়ে গড়েছেন ইকো-ভিলেজ। পর্যটনকেন্দ্র থেকে যা আয় হয়, তার সিংহভাগই পান তাঁরা। বাকি লভ্যাংশ ব্যবহৃত হয় ইকো-ভিলেজের উন্নতিকল্পে। তবে এই পুরো বিষয়ের যিনি মূল কারিগর, তিনি তৎকালীন বন দফতরের আধিকারিক অংশু প্রজ্ঞান দাস।

1e7a085487a469f8ef5b0b46f8c6afb3

বর্তমানে তিনি বন দফতরের ডেপুটি কনজার্ভেটর (ডিসিএফ)। তাঁর কথায়, ‘এই ইকো ট্যুরিজম এর জায়গা গুলি তাদের প্রয়োজনীয় উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছিল। ধীরে ধীরে তারা উপার্জনের জন্য বনজ দ্রব্যের প্রতি কম নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। ওড়িশার ইকো ট্যুরিজম এর মডেলটিই এখন ভারতের একমাত্র গোষ্ঠীভিত্তিক মডেল।

92e0c5499e1762c42e0ce74c4806f3d1

এখানে ভ্রমণ সংক্রান্ত সার্বিক আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ সকলের মধ্যে মাইনে হিসেবে ভাগ করে দেওয়া হয়। আর বাকি কুড়ি শতাংশ এখানের পর্যটনকেন্দ্রগুলির দেখভাল ও সংশোধন এবং উন্নতির খাতে ব্যয় করা হয়।’