দেশে প্রথম লকডাউনের মেয়াদ বাড়াল রাজ্য, ১৭ জুন পর্যন্ত বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

দেশজুড়ে জল্পনার মাঝেই করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল ওডিশা৷ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে লকডাউন চলবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক৷ রাজ্যগুলির মধ্যে ওডিশাই প্রথম লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পথে পা বাড়াল৷

ভুবনেশ্বর: দেশজুড়ে জল্পনার মাঝেই করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল ওডিশা৷ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে লকডাউন চলবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক৷ রাজ্যগুলির মধ্যে ওডিশাই প্রথম লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পথে পা বাড়াল৷

পট্টনায়েক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের সবরকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷  পাশাপাশি ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেন, বাস ও বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার জন্যও কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে৷ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বদলীয় বৈঠকেও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করেছিল ওডিশা৷ 

এদিন একটি বিবৃতিতে পট্টনায়েক বলেন, ‘‘এক শতাব্দীর পর করোনাভাইরাসের মতো বিপদের সম্মুখীন মানবজাতি৷ জীবন আর আগের মতো থাকবে না৷ আমাদের সকলকে এটা বুঝতে হবে৷ একসঙ্গে দৃঢ়ভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে৷ আমাদের ত্যাগ ও প্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদে এই দিন কেটে যাবে৷’’ 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষের জন্য খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টি এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কৃষিকাজ, পশুপালন এবং মহত্মা গান্ধী ন্যাশনালরুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (এমজিএনআরইজিএ) সম্পর্কিত কাজগুলি করা হবে৷ রাজ্যের মধ্যে পণ্য পরিবহনের অনুমতি থাকবে৷ দিল্লি, মুম্বই, চন্ডীগড় এবং নাগাল্যান্ডের মতো এই রাজ্যেও মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ 

ওডিশায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ২ জনের৷ সারা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ এই অবস্থায় লকডাউন আরও কিছুদিন বাড়ানো হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন৷  এর পর দিনই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় পট্টনায়েক সরকার৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *