মুসলিমের হাতে খাবার নিতে আপত্তি, সটান জবাব জোমাটোর

নয়াদিল্লি: ফের আরও এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ৷ গোটা দেশ জুড়ে বেড়ে চলা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার মাঝে নয়া বিবৃতি প্রকাশ করল অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোমাটো৷ ‘অহিন্দু’ ডেলিভারি বয়ের পাশে দাঁড়িয়ে জোমাটো বিবৃতি এখন সংবাদ শিরিমোনামে৷ কিন্তু, কী এমন হয়েছিল, যাতে জোমাটোর মতো সংস্থা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিবৃত দিতে হল? বুধবার সকালে অনলাইন খাবার

মুসলিমের হাতে খাবার নিতে আপত্তি, সটান জবাব জোমাটোর

নয়াদিল্লি: ফের আরও এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ৷ গোটা দেশ জুড়ে বেড়ে চলা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার মাঝে নয়া বিবৃতি প্রকাশ করল অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোমাটো৷ ‘অহিন্দু’ ডেলিভারি বয়ের পাশে দাঁড়িয়ে জোমাটো বিবৃতি এখন সংবাদ শিরিমোনামে৷ কিন্তু, কী এমন হয়েছিল, যাতে জোমাটোর মতো সংস্থা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিবৃত দিতে হল?

বুধবার সকালে অনলাইন খাবার অর্ডার করেন এক ব্যক্তি৷ অর্ডার অনুযায়ী খাবার ডেলিভারিও করা হয়৷ ক্রেতার ঠিকানার জোমাটো তার ডেলিভারি বয়েকে পাঠায়৷ বিপত্তি বাধে মাঝপথে৷ অনলাইন অ্যাপে ডেলিভারি বয়ের নাম দেখে হঠাৎই অর্ডার বাতিল করেন ক্রেতা৷ অর্ডার বাতিল করার কারণ উল্লেখ করে একটি ছবিটি টুইটারে পোস্ট করেন ওই ব্যক্তি৷ লেখেন, ‘অহিন্দু লোককে পাঠিয়েছে জোমাটো৷ আমি অহিন্দু কারও হাতের খাবার খাব না৷ ফলে, আমি খাবারটি বাতিল করলাম৷’’

টুইটের ওই পোস্ট ভাইরাল হয়৷ ওঠে নিন্দার ঝড়৷ এরপরই মাঠে নামে অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা৷ ত্রেতার বিকৃত চাহিদা প্রসঙ্গে জোমাটো পাল্টা জানায়, ‘‘খাবারের কোনও ধর্ম হয় না৷ খাবার নিজেই একটি ধর্ম৷’’ সংস্থার সিইও দীপিনদর গয়ালও টুইট করে জানান, তাঁরা ভারতের বহুমাত্রিক সংস্কৃতির প্রতি আস্থাশীল ও তার জন্য যদি তাঁদের কোনও ক্রেতাকেও হারাতে হয় তাতেও তাঁদের আপত্তি নেই৷ গয়ালের টুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়৷ ওই নির্দিষ্ট ক্রেতার নাম, বাসস্থান না জানা গেলেও টুইটারে নমো সরকার নামে প্রোফাইলটি দেখে গেরুয়া শিবিরেরই একজন সমর্থক হিসাবে মনে করা হচ্ছেন নেটিজেনরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 8 =