নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ রুখতে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে গোটা দেশ জুড়ে। এদিকে বেড়েই চলেছে সংক্রমণের ঘটনা। এদিকে রবিবারে আক্রান্তের সংখ্যা এতদিনের সব তথ্যকে ওলটপালট করে দিয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, কোভিড ১৯ ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ? এরই মধ্যে তৃতীয় দফার লকডাউনে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, এই পরিস্থিতিতে যেখানে লকডাউন জারি করেও কমানো যাচ্ছে না আক্রান্তের সংখ্যা, সেখানে নিয়ম শিথিল করার সিদ্ধান্ত যে বিপদের আশঙ্কা বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
গোটা দেশে লকডাউন চলছে ২৩ মার্চ থেকে। দ্বিতীয় সফার লকডাউন শেষ হয়েছে চলতি মাসেরই ৩ তারিখ। এরপরই তৃতীয় দফার লকডাউন, যা চলবে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত। লকডাউন জারির আগে পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫২৫। এদিকে রবিবার পর্যন্ত হিসেবে, ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। গত প্রায় দেড় মাসে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও কমবেশি ৪২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ লকডাউনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
সংখ্যায় বাড়লেও আক্রান্তের হার কমেছে এই সময়ে। পাশাপাশি এমনও দাবি করেছেন কেউ কেউ, করোনায় আক্রান্ত ৫২৫ থেকে ৪২,৫০০ জনে পৌঁছলেও পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারতো। তবে পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন ব্যাপক সংখ্যায় বাড়ছে আক্রান্ত। সূত্রের খবর, গত রবিবারেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৯৩, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। রবিবারের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে শীর্ষস্থানীয় রাজ্যগুলি যথাক্রমে মহারাষ্ট্র (নতুন সংক্রমণ: ৬৭৮ জন), দিল্লি (নতুন সংক্রমণ: ৪২৭ জন), গুজরাট (নতুন সংক্রমণ: ৩৭৪ জন), পাঞ্জাব (নতুন সংক্রমণ: ৩৩০ জন), তামিলনাড়ু (নতুন সংক্রমণ: ২৬৬ জন), উত্তরপ্রদেশ (নতুন সংক্রমণ: ১৫৮ জন), রাজস্থান (নতুন সংক্রমণ: ১১৪ জন), অন্ধ্রপ্রদেশ (নতুন সংক্রমণ: ৫৮ জন), মধ্যপ্রদেশ (নতুন সংক্রমণ: ৪৯ জন) ও তেলঙ্গনা (নতুন সংক্রমণ: ২১ জন)।
রবিবার পাঞ্জাবের মোট প্রায় ৩৩০ জন আক্রান্তের মধ্যে ২৭০ জন নান্দেদ তীর্থযাত্রী বলে জানা গেছে সংবাদসূত্রে। শেষ কয়েকদিনের হিসেবে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।