নয়াদিল্লি: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে অস্থির অবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের৷ ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ৩০ হাজারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে৷ ভারতে করোনায় ৯৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ভারতে করোনায় ২৯, ৪৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ সুস্থ হয়েছেন ৬,৮৬৯ জন৷
ভারতে হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড় চলেছে৷ চণ্ডীগড়ে করোনায় ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ পঞ্জাবের মোহালিতে নতুন করে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ অন্ধ্রপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷ সোমবার দিল্লিতে ব্যাপক পরিমাণে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷ সোমবার দিল্লিতে ১৯০ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷ আগ্রায় মঙ্গলবার নতুন করে আট জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷ মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে ৫০০ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সন্ধা পাওয়া গিয়েছে৷ শুধু মহারাষ্ট্রে একদিনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
মৃদু উপসর্গ সহ করোনা আক্রান্ত রোগীকে মমতার পথে হেঁটে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিল কেন্দ্র৷ যাঁদের শরীরে খুব কম মাত্রায় লক্ষণ রয়েছে অথবা যাঁরা প্রি-সিমটোম্যাটিক রোগী তাঁরা এবার থেকে বাড়িতে সুবিধে থাকলে সেখানেই সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। এমনই গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রক। এতদিন করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালেই চিকিৎসা বাধ্যতামূলক ছিল৷ শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সরাসরি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হতো৷ কিন্তু রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাওয়ার কারণে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে৷ পরিবার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নয়া গাইড লাইন প্রকাশ করা হয়েছে৷ নির্দেশিকায় কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছেন, কোভিড কেয়ার সেন্টার, ডেডিকেটেড কোভিড হেলথ সেন্টার অথবা ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে। প্রি-সিমটোম্যাটিক কোনও রোগীর বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকার সুবিধা থাকলে, তাঁরা বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে৷