মুম্বই: অবশেষে ঋণমুক্ত রিলায়েন্স৷ গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক লগ্নি টেনেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড৷ রিলায়েন্সের জিয়ো প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীরা ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করার পরেই মেলে এই সাফল্য৷ শুক্রবার সংস্থাকে ঋণমুক্ত বলে ঘোষণা করেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়াম্যান মুকেশ আম্বানি।
এদিন একটি বিবৃতিতে আম্বানি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের সংস্থাকে ঋণমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি৷ সংস্থার শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আমি আমার প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরেছি। আমরা ঠিক করেছিলাম ৩১ মার্চ ২০২১ সালের মধ্যে আমরা আমাদের এই লক্ষ্যে পৌঁছব৷ কিন্তু তার অনেক আগেই এই সফলতা পেয়েছি আমরা৷’’
চলতি বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১,৬১,০৩৫ কোটি টাকা ঋণের বোঝা ছিল সংস্থার কাঁধে৷ এর পর ১১টি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কাছ থেকে ১,১৫,৬৯৩.৯৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসে রিলায়েন্সে৷ এছাড়াও অন্যান্য ইস্যুভিত্তিক কাজের জন্য আসে ৫৩,১২৪.২০ কোটি টাকার বিনিয়োগ।
রিলায়েন্সের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এত কম সময়ের মধ্যে কোনও সংস্থায় এতটা মূলধন জমা করার নজির বিশ্বে বিরল। ভারতের কর্পোরেট ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি৷ বাণিজ্যমহলে এটা একটা নতুন বেঞ্চমার্ক স্থাপন করেছে৷’’ ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘এটি ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকে বিশ্বজুড়ে লকডাউনের মাঝেই এই বিনিয়োগের কাজটা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও রিলায়েন্সের স্টেকহোল্ডার ভারত পেট্রোলিয়ামের তরফে আরও ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি করানো সম্ভব হয়েছে।”
গত বছর রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি সংস্থার শেয়ারহোল্ডারদের কথা দিয়েছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যেই ঋণমুক্ত হবে রিলায়েন্স৷ এছাড়াও আগামী ৫ বছরের মধ্যে রিলায়েন্স রিটেল এবং রিলায়েন্স জিয়োকে পুরোপুরি সংস্থার অন্তর্গত করা হবে৷ এর পরেই ২০২১-এর মার্চ মাসের মধ্যে ঋণমুক্ত সংস্থা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে শেয়ার বিক্রির পথে হাঁটে জিয়ো৷ জিও-তে এই বিপুল পরিমাণে বিদেশি লগ্নি রিলায়েন্সকে মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ঋণমুক্ত করতে সফল ৷
জিয়ো-তে অতিসম্প্রতি যে সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ফেসবুক (৪৩,৫৭৩.৬২ কোটি টাকা), সিলভার লেক পার্টনার্স (৫৬৫৫.৭৫ কোটি টাকা), ভিস্তা ইক্যুইটি পার্টনার্স (১১,৩৬৭ কোটি টাকা), জেনারেল অ্যাটলান্টিক (৬৫৯৮.৩৮ কোটি টাকা), কেকেআর (১১,৩৬৭ কোটি টাকা), মুবাডালা (৯০৯৩ কোটি টাকা), সিলভার লেক (৪,৫৪৭ কোটি টাকা)-র, আবু ধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি বা ADIA-এর (৫৬৮৩.৫০ কোটি টাকা), টিপিজি ক্যাপিটাল (৪৫৪৬.৮০ কোটি টাকা), এল ক্যাটারটন (১৮৯৪.৫০ কোটি টাকা) এবং পিআইএফ (১১,৩৬৭ কোটি টাকা) ৷