আজ বিকেল: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদি। জনগণ তাঁকে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, তাঁরও তো প্রতিদানে কিছু দেওয়া উচিত। সেকারণেই জনসাধারণকে বিনামূল্য ল্যাপটপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে মোদির ছবি লাগিয়ে জনগণকে ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল এক যুবক, কিন্তু সে সাধ পূর্ণ হওয়ার আগেই শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে ওই প্রতারকের। ধৃতের নাম রাকেশ জঙ্গিদ(২৩)। আইআইটি থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করা রাকেশ রাজস্থানের নাগৌর জেলার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালেই আইআইটি থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন রাকেশ। কিন্তু মাত্র দু’দিনেই রাকেশের এই ফাঁদে পা দিয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। পুলিশ জানিয়েছে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ লোগো লাগিয়ে এবং মোদির ছবি ব্যবহার করে জনগণকে প্রতারিত করার ফাঁদ পেতেছিল রাকেশ। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপেও ভাইরাল করেছিল এই ভুয়ো ওয়েবসাইটের খবর। আর রাকেশের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ লোক ইতিমধ্যেই ফ্রিতে ল্যাপটপ পাওয়ার আশায় নিজেদের নামও রেজিস্টার করেছেন এই ভুয়ো ওয়েবসাইটে। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের কাছে খবর আসে www.modi-laptop.wishguruji.com—–এই নামের একটি ওয়েবসাইট বাজারে এসেছে। এবং সেখানে মানুষকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এক উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এমন অদ্ভুত খবর পেয়েই সন্দেহ জাগে। শুরু হয় তদন্ত। তারপরেই পুলিশের জালে পাকড়াও হয় আইআইটি-র পড়ুয়া রাকেশ। ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় নিজের কীর্তির কথা স্বীকার করেছ রাকেশ। অল্প সময়ে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা আদায়ের জন্যই এই ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে। পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। পরে বিভিন্ন সাইবার মাফিয়াদের হাতে সেইসব তথ্য তুলে দিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রতারণা করার প্ল্যানও ছিল রাকেশের।