নয়াদিল্লি: এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)-এর প্রায় ৬৫ লক্ষ সদস্যের জন্য সুখবর৷ এবার থেকে তাঁরা তাঁদের ‘জীবন প্রমাণ’ বা লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারগুলিতেই (সিএসসি)৷ কোভিড পরিস্থিতিতে ইপিএফও-র সদস্যদের যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷
দেশজুড়ে প্রায় ৬৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যেক বছর তাঁর জীবিত থাকার প্রমাণপত্র জমা দিয়ে থাকেন৷ যেদিন লাইফ সার্টিফিকেট সাবমিট করবেন, সেদিন থেকে ঠিক একবছর পর্যন্ত তা ভ্যালিড থাকবে৷ এবার থেকে বাড়ির কাছে থাকা সিএসসি-তেই এই সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে৷ সারা দেশে প্রায় ৩.৬৫ লক্ষ ইপিএফও-র সহযোগী কমন সার্ভিস সেন্টার রয়েছে৷
কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘কোভিড-১৯ এর এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে ইপিএস পেনশনভোগীদের যাতে সমস্যা না হয়, সে কথা ভেবেই বাড়ির কাছাকাছি সেন্টারে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ডিজিটাল জীবন প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য সিএসসি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইপিএফও৷’’ উল্লেখ্য, ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে প্রথম লাগু করা হয়৷
ইপিএফও সদস্যদের জন্য স্বস্তি-
*পেনশন চালু রাখার জন্য প্রতি বছর লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক৷ এবার থেকে তা সিএসসি-তে জমা দেওয়ার যাবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ এবার থেকে ঘরের কাছেই সিএসসি’র বিস্তৃত নেটওয়ার্কে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন ইপিএস পেনশনভোগীরা৷
*সিএসসি ছাড়াও ইপিএস পেনশনভোগীরা ১৩৫টি আঞ্চলিক অফিস, ১১৭টি জেলা অফিস এবং পেনশন ডিস্ট্রিবিউটিং ব্যাংকেও সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন৷
*পরিবর্তিত নিয়মে বলা হয়েছে, এখন বছরের যে কোনও সময়ই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন পেনশনভোগীরা৷
এর আগে সাধারণত লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হত নভেম্বর মাসে৷ পেনশনভোগীদের কাছে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার জন্য ৩০ দিনের সময় থাকে৷ যদি কেউ নভেম্বর মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা না করেন তাহলে জানুয়ারি মাস থেকে তার পেনশন আটকে দেওয়া হত৷ কিন্তু ইপিএফও-র এর সুবিধার জেরে এখন বছরের যে কোনও সময় লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যেতে পারে৷