আজ বিকেল: অন্তর্বাস পরা ম্যানিকুইন সাজিয়ে মহিলাদের বিব্রত করা যাবে না। মুম্বইয়ের শপিংমলগুলিকে সাফ জানিয়ে দিল শিবসেনা। এই কাজে পুরসভাকেও ম্যানিকুইনগুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিবসেনা। জানানো হয়েছে, ব্যস্ত রাস্তার দু’ধারে এমন অন্তর্বাসে সজ্জিত ম্যানিকুইন অত্যন্ত অশোভন। হামেশাই এই ম্যানিকুইন দেখিয়ে মহিলাদের দোকানে টেনে আনার চেষ্টা করা হয়। এতে অনেক মহিলাই বিব্রত হন। সুতরাং, এমন দেখনদারিতে কাজ নেই।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের যে দোকানগুলিতে মহিলাদের পোশাক ও অন্তর্বাস রাখা হয়, তার সবকটিতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এমন অশোভন ও কুরুচিকর সমস্ত ম্যানিকুইন দোকান থেকে তুলে ফেলতে হবে। নাহলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেবে বিএমসি। প্রায়ই দেখা যায় দোকানের সামনে গাছের ডালে অন্তর্বাস পরা ম্যানিকুইন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দোকানদারদের মস্তিষ্কপ্রসূত এমন অদ্ভুত চিন্তাধারা ও ম্যানিকুইনের এ হেন প্রদর্শনীতে রাস্তাঘাটে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়তে হয় মহিলাদের। তাঁর দাবি, ‘‘কোন দোকানে কী পাওয়া যায় সেটা আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না, সুতরাং অন্তর্বাসের প্রদর্শনী বন্ধ হোক। আমরা ঠিক করেছি নিষেধ অমান্য করবে যারা, তাদের দোকানের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে।
শিবসেনা কর্পোরেটর এবং পুর আইন কমিটির চেয়ারম্যান শীতল মাত্রে জানিয়েছেন, ‘‘বিএমসি-র কাছে আগেও এমন প্রস্তাব এসেছিল। তখনও আমরা দোকানদারদের সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু, ফের একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এবার অনেক কঠোর হাতে আমরা এর ব্যবস্থা নেব।’’ তিনি আরও বলেন, দোকানে ম্যানিকুইন রাখাটা মোটেও আইনের চোখে অপরাধ নয়। তবে সবকিছুরই একটা সঠিক নিয়ম থাকা প্রয়োজন। ম্যানিকুইনকে পরানো পোশাক এমন হওয়া উচিত যেটা রুচিকে আঘাত করবে না। দৃষ্টিনন্দন নয়, এমন জিনিস দেখিয়ে ক্রেতাদের টেনে আনার প্রচেষ্টা মোটেও শোভনীয় নয়।