নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ রুখতে এবারের শীতকালীন অধিবেশন স্থগিত করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ বুধবার জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সরকারিভাবে একথা জানানো হয়েছে৷ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, সব দলই শীতকালীন অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া এবং জনুয়ারিতে বাজেট অধিবেশন করার পক্ষে মত দিয়েছে৷ যদিও একথা তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি বলে জানিয়েছে কংগ্রেস৷
কৃষি বিলের বিরোধিতা করে কৃষক সংঘটনগুলির বিক্ষোভ প্রতিবাদ ব্যাপক আকার নিয়েছে৷ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁদের সমর্থনও মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের অধিবেশন করার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী। সেই চিঠির উত্তরে, প্রহ্লাদ যোশী শীতকালীন অধিবেশন না করার বিষয়টি জানিয়েছেন। বিলটি সংশোধনী আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন অধীর চৌধুরী। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন, তিনি সব দলের নেতার সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ তাতে প্রত্যেকেই শীতকালীন অধিবেশন না করার পক্ষে। গত সেপ্টেম্বরে বাদল অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল পাস করায় মোদী সরকার৷ তার মধ্যেই রয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের তিনটি বিল৷ অধীর চৌধুরীকে লেখা চিঠিতে প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন, ‘‘এই সময় আতিমারির প্রভাব বাড়ছে৷ ফলে শীতকাল সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দিল্লিতে।’’
অধীর চৌধুরীকে একজন অভিজ্ঞ সাংসদ বলে মন্তব্য করে প্রহ্লাদ যোশী চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘‘এখন আমরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রয়েছি৷ আশা করা যায়, খুব দ্রুত টিকা চলে আসবে৷ এই বিষয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন দলের সংসদীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছি৷ তাঁরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা শীতকালীন অধিবেশন না করার পক্ষে মত দিয়েছেন৷ সরকার যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী অধিবেশন করতে চায়৷ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ২০২১ এর জনুয়ারিতে বাজেট অধিবেশন হবে।’’ সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অধীর চৌধুরী ও জয়রাম রমেশ। টুইট করে তাঁর অভিযোগ, সত্য থেকে সরে আসতে চাইছে সরকার। কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন জয়রাম রমেশ। সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, একটি অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন করতে হবে৷