নয়াদিল্লি: আগামী ১০ জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের ‘প্রিকশন’ বা ‘বুস্টার’ ডোজ। এই টিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের শেষ নেই। নাম নথিভুক্তর প্রশ্ন থেকে শুরু করে কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সবকিছু নিয়ে ছিল আলোচনা। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আপাতত মুশকিল আসান করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ বা প্রিকশন ডোজ নেওয়ার জন্য নতুন করে কোউইন পোর্টালে নাম রেজিস্টার করতে হবে না। এতে ষাটোর্ধ্বদের অনেক সুবিধা হবে বলেই ধারণা।
কেন্দ্রীয় বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য পুনরায় কোউইন পোর্টালে নাম রেজিস্টার করতে হবে না। সরাসরি যে কোনও টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যাবে এবং টিকা পাওয়া যাবে। এর আগে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছিল ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিরা যাঁরা দু’টি কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছেন তারা কোনও রকম প্রমাণপত্র ছাড়াই বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। প্রাথমিক ঘোষণায় কেন্দ্র বলেছিল, কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন প্রবীণ নাগরিকেরাই দু’টি টিকা নেওয়ার পরে বুস্টার ডোজ পাবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে। কিন্তু পরে জানিয়ে দেওয়া হয় যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট বা চিকিৎসকের দেওয়া কোনও শংসাপত্র বা প্রমাণপত্র কিছুই লাগবে না। এখন আবার নাম নথিভুক্তের ব্যাপারেও জটিলতা কমানো হল।
দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কমপক্ষে নয় মাস বা ৩৯ সপ্তাহ পরে মিলবে করোনা টিকার এই প্রিকশন বা বুস্টার ডোজ। ৬০ বছরের বেশি যাদের বয়স, তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৩৯ সপ্তাহ পরে এই ডোজ দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, তৃতীয় ডোজ়ের ক্ষেত্রে কোনও মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে না। অর্থাৎ, যিনি বুস্টার ডোজ নেবেন, তিনি এর আগে যে টিকা নিয়েছিলেন সেই টিকাই তৃতীয়বার নেবেন। অর্থাৎ কোভ্যাক্সিন নিলে কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ড নিলে কোভিশিল্ড।