লে: অশান্ত লাদাখ কী কিছুটা শান্ত হয়েছে?দিল্লি জানাচ্ছে, লাদাখের সীমান্তে চিনা সেনা গত চার দিনে বড় কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের চিনের দিকে একজায়গায় বেশ কিছু চিনা সেনা ১০০ ইয়ার্ড সরে গিয়েছে। অন্য আর একটি পাশে তেমন বড় ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি চিনা সেনা। সেখানে নতুন করে সেনা চিন মোতায়েন করেনি বলেই জানা গিয়েছে। আগ্রাসী কোনও পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়নি।
লাদাখ সীমান্তে বেশ কিছু দিন ধরেই চিন সেনা বাড়াতে শুরু করেছিল। ভারতও পালটা হিসেবে তাদের সেনা বাড়াতে শুরু করে। তবে গত চারদিন ধরে নতুন করে কোনও বড় পদক্ষেপ চিনা সেনা গ্রহণ না করলেও ভারত ও চিন সীমান্তে দুই দেশের বায়ুসেনার বিমানকে অহরহ উড়তে দেখা গিয়েছে।
মে মাসের শুরু থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ানক উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজার চিনা সেনাকে জড়ো করা হয় লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের সামনে। শুধু তাই নয়, ভারতের এলাকাতেও বেশ কিছু চিনা প্রবেশ করে। এই নিয়ে চিন ও ভারতের কয়েক দফা আলোচনা হয় বলে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে। বর্তমানে দুই দেশ আলোচনার ওপরই ভরসা রাখছে বলে প্রাথমিকভাবে সূত্রের তরফে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ জুন দুই দেশের জেনারেলের র্যাঙ্কের বৈঠক আছে। এই বৈঠকে ইতিবাচক কোনও দিক উঠে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
লাদাখের পূর্ব দিক শান্ত হিসেবেই পরিচিত। সেখানে সীমান্তে কোনও ধরনের উত্তেজনা বা গোলাগুলি চলে না। ১৯৬৭ সালে ওই সীমান্তে শেষ বারের মতো গুলি চলেছিল বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে গত একমাস ধরে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে তা মূলত একটা নির্মাণকে কেন্দ্র করে। সেনাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য লাদাখ সীমান্তে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে ভারত। কিন্তু ওই নির্মাণে বাধা দেয় চিন। মনে করা হচ্ছে এই কারণেই লাদাখ সীমান্তে ভারত চিনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।