আজ বিকেল: নিজের রাজ্য সামলাতে পারেন না বাংলাকে নিয়ে কথা বাড়াতে এসেছেন।হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন বিজেপির হ্যাপেনিং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কথাই বলছি। দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি ত্রিপুরার ব্যাটন এখন বিজেপির হাতে, যদিও বিপ্লব দেবের মুখ্যমন্ত্রীত্বে ত্রিপুরাবাসী সুখের থেকে দুশ্চিন্তায় দিন কাটায় বেশি করে। কেননা বাকপটু মুখ্যমন্ত্রী কখন বেফাঁস কিছু বলে ট্রোলড হন তার তো ঠিক নেই।সেই বিপ্লব দেব ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে বাংলায় ভোট প্রচারে এসেছেন। মমতাকে খোঁচা দিয়ে যখন বিজেপির মুখে লাভের গুড় তুলে দিতে ব্যস্ত বিপ্লববাবু, তখনই শোনা গেল ভয়ঙ্কর কথা।
বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তবর্তী ত্রিপুরাতে ভাল নেই রাজ্যবাসী। স্থানীয় ধলাই গ্রামের মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, রোজগারের কোনও ব্যবস্থা নেই। চাষাবাদ হয় না, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই, নেই ডাক্তারও। প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় গ্রাম প্রায় উজাড় হয়ে যাচ্ছে, দেখেও দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রাণে বাঁচতে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশেই চলে যাচ্ছে ধলাই গ্রামের বাসিন্দারা।
আগরতলা সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছেও ধলাই গ্রামের ম্যালেরিয়া আক্রান্তদের নিয়ে কোনও রিপোর্ট নেই। দপ্তরের কোনও আধিকারিকই জানেন না এমন একটি গ্রামে কয়েকদিন অন্তর অন্তর ম্যালেরিয়ায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিজেপি শাসনে যে ত্রিপুারর মানুষ বাল নেই তা উল্লেখ করতে ছাড়েননি সিপিএম নেতা। তবে যাই বলুক না কেন স্থানীয় বিজেপির দাবি, ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়াতে সিপিএম ভুল বকছে। তাই নিজেদের মতো কারণ তৈরি করে বিজেপি তথা মুখ্যমন্ত্রীকে অহরহ দোষারোপ করা হচ্ছে। এই অভিযোগ শুধু মিথ্যেই নয়, রীতিমতো ভিত্তিহীনও।