জোটে ‘না’, তবুও দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নায় রাহুল

নয়াদিল্লি: রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে হাত না মেলালেও জাতীয় রাজনীতিতে বাংলার শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ আজ, বুধবার সংসদ ভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বিরোধী মঞ্চকে আরও কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে তুললেন সোনিয়াপুত্র৷ এদিন বেশ কিছু সময় তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে সময় কাটান রাহুল৷ তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগানও তোলেন কংগ্রেস

17639ad795e7d177976c5165063648f0

জোটে ‘না’, তবুও দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নায় রাহুল

নয়াদিল্লি: রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে হাত না মেলালেও জাতীয় রাজনীতিতে বাংলার শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ আজ, বুধবার সংসদ ভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বিরোধী মঞ্চকে আরও কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে তুললেন সোনিয়াপুত্র৷ এদিন বেশ কিছু সময় তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে সময় কাটান রাহুল৷ তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগানও তোলেন কংগ্রেস সভাপতি৷

গণতন্ত্র বাঁচানোর দাবি তুলে আজ সংসদে ধর্নায় বসেন তৃণমূল সাংসদরা৷ দেওয়া হয় স্লোগান৷ মোদি সরকারের পদত্যাগেরও দাবি তোলা হয়৷ এদিন সংসদে ঢোকার মুখে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল গান্ধী৷ আজ, মোদি সরকারের শেষ সংসদ অধিবেশনে রাফাল ইস্যুতে আক্রমণ আরও তীব্র করার বার্তাও দেন তিনি৷

তবে, বুধবারের এই সৌজন্যের রাজনীতি ঘিরে বেশ বিপাকে বাংলার প্রদেশ নেতৃত্বে৷ কেননা, আগেই প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে তৃণমূলের সঙ্গে জোট না করার বার্তা দেওয়া হয়৷ তাতে সম্মতিও দেন রাহুল৷ তৃণমূলের সঙ্গে জোটে না গেলেও বাংলার শাসকদলের ধর্নামঞ্চে সোনিয়াপুত্রের উপস্থিতি ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা৷

ব্রিগেডের পর মোদি বিরোধী আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলনেত্রীর ওই মোদি বিরোধী লড়াইয়ে সব বিরোধী দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমনকী সিপিএমকেও। যদিও সিপিএম সেখানে যাবে না বলেই রাত পর্যন্ত জানা গিয়েছে। শারদ পাওয়ার, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এইচ ডি দেবেগৌড়ার মতো মোদি বিরোধী নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কংগ্রেসকেও যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সব বিরোধী দলকে এককাট্টা করার চেষ্টা চলছে। দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ান তা করছেন। তাঁর দাবি, ১৯ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেডের সভায় যে সব দল মোদি বিরোধী জেহাদে অংশ নিয়েছিল, তারা প্রত্যেকেই উপস্থিত থাকবে।

অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির প্রাক্কালেই দলের কোর কমিটির বর্ধিত বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে। ওই বৈঠকে দলের প্রার্থীদের নাম কি মমতা ঘোষণা করবেন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তৃণমূল মহলে। তবে, একদিকে সিবিআই তদন্তের নামে তৃণমূল নেতৃত্বকে হেনস্তা, অন্যদিকে দেশজুড়ে মমতাকে ঘিরে বিরোধী ঐক্যের প্রস্তুতি-এই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নামতে চলেছে তৃণমূল। স্বভাবতই, কোর কমিটির বৈঠকে নেত্রী ভোটযুদ্ধের কৌশলের পাঠ দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নজরুল মঞ্চে এই বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রের দাবি। বৈঠকে সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পুরপ্রধান, জেলা সভাপতি, শাখা সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *