নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে চার নম্বর বাজেট পেশ করেছেন নির্মলা সীতারমণ। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আজ পেপারলেস বাজেট পেশ করেছেন তিনি। এদিন বাজেট বক্তব্যের শুরুতেই তিনি তাদের কষ্টের কথা বলেন যারা করোনা পরিস্থিতির জন্য সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। মনে করা হচ্ছিল, এই কোভিড আবহে আশার আলো দেখতে পাবেন আয়করদাতারা। অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশের মাধ্যমে কিছু বড় ঘোষণা করবেন। কিন্তু করোনাকালেও মিলল না কোনও কর ছাড়। আবার ইএমআইয়ের ওপরও কোনও ছাড় মিলল না৷ চাকরিজীবীদের জন্য কোনও সুখবরই দিতে পারলেন না অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। শুধু তিনি জানিয়েছেন, যারা কর দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে সরকার। কর ব্যবস্থা আরও সহজতর করা হবে।
এদিনের বাজেট ভাষণের পর স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এবারেও বঞ্চিত হয়েছে আয়করদাতারা। কারণ এবারেও আয়কর কাঠামোয় কোনও বদল নেই। একই থাকছে ব্যক্তিগত কর কাঠামো। তবে কমেছে কর্পোরেট কর। সেটা ১৮ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশ হয়েছে। বাজেটে জানান হয়েছে, করদাতারা আপডেটেড রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন ২ বছর পর। এক্ষেত্রে বকেয়া করা দেওয়ার জন্য করদাতা ২ বছর সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে জানান হয়েছে, ভার্চুয়াল উপহার সম্পত্তি থেকে কোনও আয় করলে তাতে প্রাপকদের কর ধার্য করা হবে। ৩০ শতাংশ ধর দিতে হবে। সবথেকে বড় ব্যাপার, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’র ভাতা, এবং কর ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে আলাদা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল কিন্তু তা পুরণ হয়নি আজ। বাড়ি থেকে কাজ করায় কর্মীদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ বিল আগের চেয়ে এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। ২০২০ সালের আগে এমন কিছু পরিস্থিতি ছিল না। তাই চাকরিজীবীদের একটি অংশ মনে করেছিল যে, তাদের কোম্পানি যদি ভাতা না দিতে পারে তাহলে সরকারের কিছু কর ছাড় দেওয়া উচিত। কিন্তু বাজেটে এই নিয়ে কোনও আশানুরূপ বার্তা দেওয়া হল না।