নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ যখন সারাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখে দিয়েছ ঠিক তখনই একাধিক রাজ্যে দেখা দিয়েছিল অক্সিজেন সংকট। বহু রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছিল বলে খবর হয়েছিল। এমনকি বিরোধীরা দাবি করেছিল যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা থেকে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। তবে আজ কেন্দ্রীয় স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের অভাব ছিল দেশে, কিন্তু তার কারণে কারো মৃত্যু হয়নি।
কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেনুগোপাল এই ইস্যুতে প্রশ্ন তোলেন। এই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, স্বাস্থ্য হল রাজ্যের বিষয়। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি রাজ্য সরকার জানায় কেন্দ্রকে। তাই দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে কোনো রাজ্য থেকেই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু মৃত্যু হয়েছে রোগীর এমন কোন তথ্য আসেনি কেন্দ্রের কাছে। তাই তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে, অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর কোনো তথ্য নেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। কয়েক মাস আগে পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু ঘটেছে বলে এমন খবর সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র এখন স্পষ্ট বলছে যে তাদের কাছে খাতায়-কলমে কোন তথ্য নেই যে কোন রাজ্যে বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৩ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সেই চাহিদা বেড়ে হয় ৯ হাজার মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন- ভারতীয় সেনার রিক্রুটমেন্ট ব়্যালি হবে সিমলায়
তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন যে দেশের অক্সিজেন সংকট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কাটিয়ে উঠেছে দেশ। যখন তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন তখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর ছিল না। অন্তত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দৈনিক তথ্য তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। আর এখন কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে অক্সিজেনের অভাবে দেশে কারোর মৃত্যুই হয়নি। তবে সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল সেগুলি তাহলে কিসের ভিত্তিতে তা নিয়ে অবশ্য এখন আলোচনা চলতে পারে।