নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে ও প্রত্যেককে আশপাশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লঞ্চ করা হয়েছে আরোগ্য সেতু অ্যাপ। কিন্তু এই অ্যাপে তথ্য সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ময়দানে নামল কেন্দ্র৷ করোনভাইরাস ট্র্যাকিং আরোগ্য সেতু অ্যাপে কোনও তথ্য বা সুরক্ষা লঙ্ঘিত হয়নি বলেই সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক৷
মঙ্গলবার ফরাসি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও হ্যাকার এলিয়ট আন্ডারসন বলেন, এই অ্যাপ ডাউনলোড করা প্রায় ৯ কোটি ভারতীয়র গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে৷ এর পরই ট্যুইট করে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডেভলপাররা বলেন, ‘‘অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি ওই হ্যাকার৷ আমরা ক্রমাগত আমাদের সিস্টেমের উপর নজর রাখছি এবং আপগ্রেডিং করছি৷ এই অ্যাপের মাধ্যমে কোনও তথ্য বা সুরক্ষা লঙ্ঘন হয়নি৷’’ তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ‘‘এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের লোকেশন জানা গেলেও, সেই তথ্য বেনামেই সার্ভারে এনক্রিপ্ট থাকে৷ এই তথ্যগুলি কোনও ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল ডেটার সঙ্গে আপস করে না৷’’
এর আগে আধার অ্যাপ্লিকেশনটির ত্রুটিগুলি তুলে ধরেছিলেন এলিয়ট আন্ডারসন৷ মঙ্গলবার আরোগ্য সেতু অ্যাপের সুরক্ষা ইস্যু নিয়ে সতর্ক করে একাধিক ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, “ আরোগ্য সেতু, অ্যাপ্লিকেশনটিতে একটি সুরক্ষা জনিত সমস্যা পাওয়া গিয়েছে। ৯ কোটি ভারতীয়ের গোপন তথ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে।’’ এর পরই ভারত সরকার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান আন্ডারসন৷ ভারতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং জাতীয় তথ্য বিজ্ঞান কেন্দ্র তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সরকার তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস হটস্পটগুলি ট্র্যাক করতে ফোন থেকে লোকেশন ডেটা ব্যবহার করে এই অ্যাপ।
অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সকল কর্মচারীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ। প্রধানমন্ত্রী নিজে বারবার এই অ্যাপ ডাউনলোড করার অনুরোধ জানিয়েছেন৷ তারপর থেরেই হু হু করে দেশের মানুষ আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করেছে। বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট জোনের প্রত্যেককেও এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। আজ থেকে বিশেষ বিমানের মাধ্যমে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা শুরু হচ্ছে৷ যাঁরা দেশে ফিরছেন, তাঁদেরও এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে বলে জানানো হয়েছে৷