sikkim
গ্যাংটক: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিকিমে মানুষ ঘুরতে যান। বাংলা থেকে তো প্রায় প্রতি মাসেই শয়ে শয়ে মানুষ পাহাড়ে যাচ্ছেন, যার মধ্যে সিকিম থাকেই। এই সময়েও যে সিকিমে একাধিক রাজ্যের পর্যটক ভিড় করেছে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে যে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এই রাজ্যে তার জেরে এই পর্যটকদের নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। এই মুহূর্তে কতজন পর্যটক আটকে রয়েছেন সিকিমে, তা হিসেব মিলছে না। যারা আটকে আছেন তারা যে নিজে থেকে ফিরতে পারবেন এমন পরিস্থিতিও নেই, কারণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ।
পুজোর মুখে সিকিম ঘুরতে যাওয়া বহু পর্যটক এখন যেন দুঃস্বপ্ন দেখছেন। তিস্তার ধ্বংসলীলার জেরে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে সেতু, সেনা ছাউনি সব ভেসে গিয়েছে। এই অবস্থায় কত প্রাণহানি হয়েছে তার স্পষ্ট ধারনাও যেমন মিলছে না, বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের কত পর্যটক আটকে আছেন সেখানে সেই তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে একাধিক জরুরি পরিষেবার নম্বর।
শিলিগুড়ি দিয়ে সিকিম যাওয়ার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পথ হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বুধবার সকাল থেকে তিস্তার তাণ্ডবে সেই পথ অবরুদ্ধ। ফলত, সিকিমের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এই অবস্থায় একাধিক মহল থেকে দাবি উঠছে, কেন্দ্র ও রাজ্য যেন এয়ারলিফটিং করে কবলিত মানুষদের উদ্ধার করেন। এছাড়া এত মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়।