নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ বাজেট জনমোহিনী হবে কিনা, তা মূলত নির্ভর করে কর বা ট্যাক্স নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার উপর৷ সে দিক থেকে দেখলে এই বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তনই আনলেন না অর্থমন্ত্রী৷ অপরিবর্তিতই রাখলেন আয়কর কাঠামো৷ আয়কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ করার উপর জোড় দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘সাধারণের জন্য শূন্য’, বাজেট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া মমতা সহ বিরোধীদের
এদিন অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ভার্চুয়াল বা ডিজিটাল সম্পদ বিক্রি বা অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে যে আয় হবে, তার উপর ৩০ শতাংশ কর বসছে। তা ছাড়া কো-অপারেটিভ সোসাইটির সারচার্জ কমানো হচ্ছে৷ কো-অপারেটিভ সোসাইটির করের হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সীতারমন। পাশাপাশি স্টার্ট-আপ ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্যোগপতিরা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, এক বছরের ‘ট্যাক্স ইনসেন্টিভ’ পাবেন। গ্লোবাল ট্রানস্যাকশনের উপরেও সারচার্জ কমানো হচ্ছে৷ বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে ব্যায়কে বিজনেস এক্সপেন্স হিসাবে দেখানো যাবে না৷
অন্য দিকে ট্যাক্স রিটার্নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ঘোষণা, ভ্রম সংশোধন করে করদাতারা রিটার্ন ফাইল করার জন্য দুই বছর সময় পাবেন৷ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিজিটাল সম্পত্তির হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কর ধার্য হয়েছে এক শতাংশ। জাতীয় পেনশন প্রকল্প (এনপিএস)-এর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৪ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হবে।’’
কেন্দ্রের এই বাজেটে না-খুশ বিরোধীরা৷ এই বাজেটকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে লিখেছেন, আম জনতার জন্য বাজেট শূন্য। একই সঙ্গে এই বাজেটের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছে কংগ্রেস সহ অন্যানরাও। উল্লেখ্য, বেতনভুর কর্মচারীদের জন্য কোনও কর ছাড় ঘোষণা করলেন না অর্থমন্ত্রী৷