নয়াদিল্লি:দিল্লি বিধানসভার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির ডাকা এক শুনানি এড়াল ফেসবুকের আধকারিকরা। এটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন বিষয় বলে দাবি করে তারা জানায় এর আগে তারা সংসদীয় প্যানেলের সামনে হাজিরা দিয়ে ফেলছে বলেও দাবি করে। গোটা ঘটনায় হতবাক দিল্লি প্যানেল জানিয়েছে এবিষয়ে তারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়েন্টকে শেষবারের মত সুযোগ দেওয়ার কথা জানাবে।
দিল্লি বিধানসভার খোলাখুলি শুনানিতে ফেসবুক অধিকারিকদের তরফে আসা লিখিত স্বীকারোক্তিটি পড়া হয়। চিঠিটিতে বলা হয় আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই চলতি মাসের শুরুর দিকে সাংসদদের কমিটির সামনে হাজিরা দিয়েছে। তাদের দাবি যেহেতু সংসদ এই বিষয়ের দায়িত্ব নিয়েছে তাই দিল্লি বিধানসভা কমিটিরও তাদের সমন তুলে নেওয়া উচিত।
ফেসবুকের তরফে চিঠি দিয়ে প্যানেলকে বলা হয়েছে যে ফেসবুকের মত সামাজিক মাধ্যমের দায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর বর্তায়। যেহেতু বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে সংসদের এক্তিয়ারভূক্ত, তারা দিল্লি বিধানসভার নোটিশটিতে আপত্তি প্রকাশ করছে এবং তাদের অনুরোধ করতে ফের এবিষয়ে ভেবে দেখতে।
দিল্লি বিধানসভার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির দায়িত্বে থাকা আম আদমি পার্টির বিধায়ক রাঘব চাড্ডার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন যেহেতু আয়কর, শান্তি ও শৃঙ্খলার পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে তাই ফেসবুক মনে করছে যে দিল্লি বিধানসভার এবিষয়ে ঢুকে কোনও কাজ নেই। বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করে বিধায়কদের দাবি ফেসবুক আধিকারিকরা এভাবে দিল্লি বিধানসভার অবমাননা করেছে।
তারা জানিয়েছেন ফেসবুকে এই বক্তব্য মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। প্যানেল সদস্যদের দাবি নিজেদের অধিকারের ভিতর থেকেই তারা ফেসবুক আধিকারিকদের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য তলব করা হয়। চাড্ডা জানিয়েছেন ফেসবুকের শীর্ষ আধিকারিক অজিত মোহনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
ফেসবুকের ওপর ওঠা শ্রেণিবিভাগ করে পক্ষপাতিত্ব এবং হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ খণ্ডন করতে বলা হয়েছে। তাঁর দাবি এটা দিল্লির বিষয়, ফেসবুক কী করে বলে যে এটি কমিটির এক্তিয়ারভূক্ত নয়। বিধানসভার কাজের পরিধি সংসদের এলাকা থেকে ভিন্নষ তাই কমিটির সামনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের না আসার বিষয়টিকে দিল্লি হিংসায় ফেসবুকের জড়িত থাকার বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। রাঘব চাড্ডা জানিয়েছেন ফেসবুককে নতুন করে সমন পাঠানো হবে।