নয়াদিল্লি: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ দিনে দিনে চড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা৷ দীর্ঘ লকডাউনের জেরে থমকে গিয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা৷ কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ৷ বেতন কমেছে বহু চাকরিজীবীর৷ কারখানাগুলির ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে চরম অচলাবস্থা৷ তলানিতে ঠেকেছে চাহিদা৷ থমকে গিয়েছি উৎপাদন৷ আর তাতেই মালিকপক্ষের ঘুম উড়েছে৷ কর্মীদের বেতন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন মালিকপক্ষের একাংশ৷ লকডাউন পর্বে কীভাবে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে, তা নিয়ে মালিকপক্ষককে স্বস্তি দিয়ে নয়া নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
করোনা আবহে মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ীদের জন্য বড়সড় স্বস্তির দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ কর্মীদের বকেয়া বেতন না দিতে পারলে এখনই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দেশের লক্ষাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে৷ করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সরকারের উচিত, তাঁদের পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা করা৷ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কর্মীদের বকেয়া বেতন না দিতে পারলে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর তা পুনর্বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে৷ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ আগামী সপ্তাহে ফের মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা৷
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির জেরে একাধিক রাজ্য শ্রমআইন পরিবর্তন করেছে৷ সেখানে আট ঘণ্টার শ্রম সময় বাতিল করে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে শ্রমিকদের বাধ্য করার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে৷ শ্রম সময় বাড়লেও বাড়ছে না মজুরি৷ করোনা আবহে শিল্পপতিদের মুনাফা বাড়িয়ে দেওয়ার সরকারি বন্দোবস্ত করা হলেও ধাপে-ধাপে অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে দেশের খেটে খাওয়া অধিকাংশ শ্রমিকের৷
লকডাউনের জেরে একদিনে বন্ধ কলকাখানা, ছাঁটাই আশঙ্কা রয়েছে, ঠিক তখনই বকেয়া বেত ন না দিতে পারলেও মালিকপক্ষকে স্বস্তি দেওয়া পর্যবক্ষণ ঘিরে সিঁদুরে মেঘ জমছে শ্রমজীবী মহলে৷