নয়াদিল্লি: খালি করে দেওয়া হল দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবলিঘি জামাতের ভবন বা মরকজ৷ বুধবার ভোর ৪টের মধ্যে খালি করে দেওয়া হয় ছয় তলার ডর্মিটরি৷ তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে৷
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে নিজামুদ্দিন ২,১১৩ জনকে বার করে আনা হয়েছে৷ উদ্ধার করার পর তাঁদের দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতল এবং কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, যা সন্দেহ করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ আটকে ছিলেন ওই বিল্ডিংয়ে৷ যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশ-প্রশাসনের৷
মার্চের মাঝামাঝি দক্ষিণ দিল্লির ওই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার এক মসজিদে জমায়েতের ডাক দেয় তবলিঘি জামাত। নিজামুদ্দিন এলাকাতেই রয়েছে তবলিঘি জামাতের হেডকোয়াটার্স৷ এই জমায়েতে সামিল হন দেশ-বিদেশের প্রায় বহু মানুষ৷ যার মধ্যে রয়েছেন ২৫০ জন বিদেশি৷ লকডাউনের জেরে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় তাঁরা কেউই দেশে ফিরতে পারেননি৷ আটকে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বহু মানুষও৷ ওই কমপ্লেক্সের মধ্যেই এতদিন ঠাসাঠাসি করে ছিলেন তাঁরা৷
এদিন তল্লাশির পর দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের পক্ষ থেকে গোটা এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে দেশজুড়ে ওই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের খুঁজে বের করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ কর্তারা। মন্ত্রকের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই এ রাজ্যের ৭১ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৩৯ জন বিদেশি-সহ ৫৩ জনকে হজ হাউসে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজধানীতে নতুন করে মাথাচারা দিচ্ছে আতঙ্ক৷ সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের কড়া নজরে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে নিজামুদ্দিন এলাকার একটি বড় সংখ্যার মানুষ৷ শুধু নিজামুদ্দিনের কারণেই দেশের করোনা-লড়াই অনেকটা কঠিন হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।