পাটনা: নীতীশ কুমারের চতুর্থ দফা শুরু হল ইস্তফার মধ্যে দিয়ে৷ শপথ গ্রহণের তিন দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরী৷ শপথ নেওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে তিন বছর পুরনো একটি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণের তির ছুড়তে শুরু করে বিরোধী আরজেডি৷ দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হল, প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা৷ বিতর্কের মুখে পড়েই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মেওয়ালাল৷
আরও পড়ুন- সিবিআই তদন্তে রাজ্যের সম্মতি বাধ্যতামূলক, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
২০১৭ সালে তারাপুরে জেডিইউ বিধায়ক মেওয়ালালের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে অ্যাসিস্ট্যান্ড প্রফেসর এবং জুনিয়র সায়েন্টিস্ট পদে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ সেই সময় মেওয়ালালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল তৎকালীন বিরোধী দল বিজেপি’ও৷ বিরোধীদের চাপের মুখে সাময়িকভাবে দল থেকে বরখাস্তও করা হয়েছিল তাঁকে৷ তৎকালীন বিহারের রাজ্যপাল তথা বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই মেওয়ালালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল৷ তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট দায়ের করা হয়নি৷ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর মেওয়ালাল বলেছিলেন, মামলা দায়ের অপরাধের ইঙ্গিত নয়৷ তিনি এও বলেছিলেন, ‘‘একাধিক বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে৷’’ নির্বাচনী হলফনামায় এই বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেননি বলেও জানান৷ এই জেডিইউ বিধায়কের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ তিনি অপরারী নন৷ উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল তোলার জন্য তেজস্বী যাদবকেও একহাত নেন মেওয়ালাল৷
আরও পড়ুন- জম্মুর টোল প্লাজায় এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি, চলছে চিরুনি তল্লাশি
নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় মেওয়ালালের স্থান পাওয়া ও তাঁর ইস্তফার পরই টুইট করে আক্রমণ শানান তেজস্বী৷ তিনি বলে, ‘‘দুর্নীতির পাকে ডুবে থাকা একজন মন্ত্রী হল৷ শপথ নেওয়ার পর পদত্যাগের নাটক করা হল৷ আসল অপরাধী তো আপনি (নীতীশ কুমার)৷ কেন ওঁনাকে মন্ত্রী করলেন আপনি? আপনার দ্বিচারিতা আর চলবে না৷’’ বিহার মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ধনী বিধায়ক এই মেওয়ালাল৷ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ৷ রয়েছে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন৷