পেগাসাস নিয়ে তদন্ত চান নীতীশ! চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

পেগাসাস নিয়ে তদন্ত চান নীতীশ! চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

পাটনা: পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্তাল দেশের রাজনৈতিক মহল। যত দিন যাচ্ছে বিরোধীরা ক্রমশ আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। এর পাশাপাশি পেগাসাস কাণ্ডের তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে তো রয়েছেই। এমনিতেই এই ইস্যুতে অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এবার সেই অস্বস্তি আরো বাড়লো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কারণে! কারণ তিনিও এখন পেগাসাস কাণ্ডের তদন্ত চাইছেন।

এতদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে কংগ্রেস এবং সিপিএম এই ইস্যু নিয়ে ব্যাপক সরব রয়েছে। এবার বিহারের বিজেপির অন্যতম সহযোগী দল জেডিইউ, পেগাসাস কাণ্ডের তদন্ত চলছে। বলাই বাহুল্য এই দলের সুপ্রিমো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাই বিজেপি শিবিরের অস্বস্তি অবশ্য ভাবে আরো বেড়ে গিয়েছে তা বলাই যায়। নীতীশ কুমারের বক্তব্য, যে ঘটনা ঘটেছে তার সম্পূর্ণ সত্য সামনে আসা দরকার। সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হবে এটা কখনোই কাম্য নয়। তাই পেগাসাস কাণ্ডের সত্য উন্মোচন হোক সেটাই চাইছেন তিনি। তবে হঠাৎ এমন ভোলবদল কেন নীতীশ কুমারের? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে বেশ কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল সংক্রান্ত ব্যাপারে নীতীশের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। সেই কারণেই হয়তো এখন পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে যখন বিরোধীরা সরব হচ্ছে তখন নীতীশ নিজেকে পিছিয়ে রাখতে পারছেন না। 

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর জরিমানা বাবদ ৫ লাখ টাকা কোথায় গেল? হাইকোর্টে বিজেপির বিক্ষোভ

প্রসঙ্গত, ‘পেগাসাস’ হচ্ছে ইজরায়েলী সংস্থা এনএসও-র তৈরি একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতা যায় বা ফোন হ্যাক করা যায়। এই প্রজুক্তি ব্যবহার করে সহজেই যে কোনও ফোনের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে দেওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই ফোনটি স্মার্টফোন হতে হবে। এর মাধ্যমে ফোনের ভয়েস কল ও হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা-সহ সমস্ত তথ্য কয়েক মিনিটের মধ্যে হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। সবথেকে আতঙ্কের বিষয়, গোটা প্রক্রিয়াটি এতটাই গোপনে হয় যে, ব্যবহারকারী কোনও রকম আন্দাজ পায় না যে তাঁর ফোনের সঙ্গে কী হচ্ছে। এতএব, অজান্তেই তাঁর সমস্ত গোপন তথ্য কয়েক মিনিটে চলে যায় অন্যের হাতে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *