পাটনা: বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যে এনপিআর ও এমআরসি হতে দেবেন না। বিজেপির জোট শরিক হয়েও তিনি প্রথম এমআরসি ও এনপিআরের বিরোধিতা করেন। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন নীতিশ কুমার। সোমবার বিহারের বিধানসভায় এনআরসি ও এমপিআর নিয়ে আলোচনার জন্য বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেন বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে নীতিশ কুমার বলেন, রাজ্যে যখন এনআরসি ও এনপিআর হচ্ছে না, তাই এই নিয়ে বিশেষ অধিবেশনের কোনও প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদি জানান, আগামী ১৫ তারিখ থেকে এনপিআর শুরু হবে। চলবে ২৮ তারিখ পর্যন্ত। জানা যায়, পুরনো এনপিআর নিয়ে নীতীশ কুমারের কোনও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এনপিআরে নতুন নতুন বেশ কয়েকটি বিষয় যোগ করা হয়েছে। যা নিয়ে নীতীশ কুমার ও তাঁর দলের আপত্তি রয়েছে। তাই বর্তমানে তিনি এই বিষয় থেকে রাজ্যকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ মিছিলের আঁচ পড়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে। তারপরেও এই বিক্ষোভকে দমিয়ে রাখা যায়নি। এই দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নজর দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেছেন।
ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব বিলকে সমর্থন করার জন্য প্রশান্ত কিশোর-সহ দলের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে কিশোর কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সেই পদত্যাগের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন প্রশান্ত কিশোর। তখনই নীতীষ কুমার তাঁকে জানিয়েছিলেন, বিহারে এনআরসি প্রয়োগ হবে না। সেই কথাই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রকাশ্যে বলেন। নীতীশ কুমারের এই ঘোষণা যে গেরুয়ায় শিবিরের অস্বস্তি বাড়াল, তা আর বলার অপেক্ষা নেই।