নজরে কি মোদির কুর্সি? উত্তরে যা বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

নজরে কি মোদির কুর্সি? উত্তরে যা বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

পাটনা: দিন কয়েক আগেই গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে বিহারের রাজনৈতিক হিসাব পালটেছেন তিনি। পুরনো বন্ধু লালুর দলের হাত ধরেই গড়েছেন নতুন সরকার। অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আসনে বসে গড়েছেন রেকর্ডও। এবার সেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কি আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রীর আসন দখলের জন্য প্রকাশ্য লড়াইয়ে নামছেন? সম্প্রতি জাতীয় রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্নই। যার উত্তরে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লালুপুত্র তেজস্বী যাদব জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখা যেতেই পারে। তার ঠিক একদিন পরেই এবার প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নীতীশ স্বয়ং। শুক্রবারে এই প্রসঙ্গে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে নীতীশ কুমার জানালেন, এখনই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে তিনি কিছু ভাবছেন না। আপাতত বিহার তথা বিহারের মানুষের জন্যই কাজ করতে আগ্রহী তিনি। সেই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করে তোলাই এই মুহূর্তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম এবং একমাত্র লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার তেজস্বী এই প্রসঙ্গে বলেন, যদি নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলে নীতীশ নয় কেন? তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ নীতীশের উপরেই ছেড়েছিলেন তেজস্বী। সেই সঙ্গে আরও বলেছেন, ‘বিহারে যা হয়েছে, তাতে গোটা দেশের কাছে বার্তা গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ভয় না পেয়ে লড়াই করতে হবে। বিরোধী নেতাদের অনেকেরই যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী হতেই পারেন।’ এরপরেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ ভাবতে শুরু করেন, এনডিএ জোট ভেঙে নীতীশ বেরিয়ে এসেছেন, তার অন্যতম কারণ হল তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান।

যদিও বিতর্কের সূত্রপাত নিতিশ কুমারের শপথ গ্রহণের দিন থেকেই। কারণ ওই দিন অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই নীতীশ কুমার নরেন্দ্র মোদির দিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘২০১৪ সালে যিনি ভোটে জিতে ছিলেন ২০২৪ সালেও তিনি ক্ষমতায় আসবেন তো?’ এরপরেই মাথাচাড়া দেয় একগুচ্ছ প্রশ্ন। অনেকেই মনে করতে শুরু করেন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাবে নীতীশ কুমারকে। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তেজস্বী যাদবকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তরে আরও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কিন্তু শুক্রবারই এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন নীতীশ কুমার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *