মিলতে পারে গুচ্ছ সুযোগ-সুবিধা! অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বাজেটের দিকে তাকিয়ে মধ্যবিত্তরা

মিলতে পারে গুচ্ছ সুযোগ-সুবিধা! অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বাজেটের দিকে তাকিয়ে মধ্যবিত্তরা

নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সূত্রের খবর, এবারের বাজেটে কেন্দ্রের নজরে থাকবে মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়৷ তাঁদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করছে কেন্দ্র। এই মর্মে আপাতত বিভিন্ন সরকারি দফতরের দ্বারা প্রেরিত প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখার কাজ চলছে৷ এর মধ্যে থেকে কিছু প্রস্তাব বিবেচনা করার পর বাজেটে জরুরি ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে উপকৃত হবে মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা বড় অংশ৷ 

আরও পড়ুন- সাধারণতন্ত্র দিবসে কর্তব্য পথে বাংলার ট্যাবলোয় ‘দুর্গোৎসব’, চণ্ডীপাঠ, ঢাকের তালে মুখরিত হল রাজধানী

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরেই আয়কর ছাড়ের দাবি জানিয়ে আসছেন মধ্যবিত্তরা। কিন্তু আয়কর ছাড়ের সীমা আড়াই লাখের থেকে বৃদ্ধি করেনি এনডিএ সরকার। ২০১৪ সালে এই সীমা নির্ধারিত হয়৷ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তাঁর প্রথম বাজেটে আয়করের এই সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর ছাড়ের এই সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উন্নীত করার কথা বিবেচনা করছে সরকার। এছাড়াও, এখনও ৫০ হাজার টাকাতেই আটকে রয়েছে ২০১৯ সাল থেকে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির মাঝে বেতনভোগী মধ্যবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ছাড়ের সীমার পাশাপাশি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে৷

নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, তিনি মধ্যবিত্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তিনি নিজেই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই এসেছেন৷ তিনি আরও জানা, মোদী সরকার ২৭টি শহরে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের উন্নয়ন এবং ১০০টি স্মার্ট সিটি নির্মাণের পদক্ষেপ করেছে। এরফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, মধ্যবিত্তের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সেই কারণেই মধ্যবিত্তের জন্য আরও কিছু করার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।

এদিকে, ভারতের মধ্যবিত্তরা নিজেদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। তাঁরা সাশ্রয়ী মূল্য়ে বাড়ি ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার পাওয়ার আশা করছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা বিমার খরচ বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মধ্যবিত্তের উপর আর্থিক বোঝা কিছুটা কমানোর জন্য কর ছাড়ের সীমা বাড়ানো উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ডাক্তারের ফি ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার খরচের মতো স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিভাগ ৮০ডি-র পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷