নয়াদিল্লি: শেষ ২ বছর ধরে করোনার কোপে জর্জরিত দেশ। মুল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে বেকারত্ব সমস্যা, মোদী সরকারের ঘুম উড়িয়েছে। বিরোধীরা একেই হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের জমি শক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহেই আজ চলতি বছরের বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সামনে রয়েছে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তাদের মধ্যে সবথেকে বড় সেই বেকারত্ব এবং মুল্যবৃদ্ধি ঠেকানো।
আরও পড়ুন- অন্তর্বাস ছাড়াই পোষ্য নিয়ে রাস্তায় মালাইকা! ছবিতে ঝড় নেটপাড়ায়
মূলত করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের আর্থিক অবস্থা টালমাটাল হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া তো দিয়েইছে, আবার আর্থিক সমীক্ষাতেও বলা হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি আগামী দিনে চিন্তার কারণ। খাদ্যপন্যের দাম কমছে না, জ্বালানির দামে বৃদ্ধি ক্রমাগত, অন্যদিকে, কোভিড আবহে নতুন করে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে ফের বাধা আসবে কিনা, সেটাই প্রশ্নের। সব মিলিয়ে একটা কঠিন সময়ের মধ্যেই যে বাজেট পেশ হবে আজ তা বলাই বাহুল্য। সেই প্রেক্ষিতেই আজ বাজেটে বাড়তি নজর থাকবে সকলের। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, আগামী কয়েক দিন পরেই ৫ রাজ্যের নির্বাচন। তাই সেই সব রাজ্যের মানুষের দিকে নজর দিয়ে এই বাজেটে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত হয়তো নেবে কেন্দ্র। সাধারণ মানুষ, কৃষকদের দিকে তাকিয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমনিতেই কৃষক আন্দোলনের সাফল্যের জেরে অস্বস্তি বেড়েছে মোদী সরকারের। তাই তাদের খুশি করতে আলাদাভাবে ভাবতেই হবে।
সব দিকে নজর দিলে বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সামনে বেশ কয়েকটিই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মুল্যবৃদ্ধি ঠেকানো, বেকারত্ব সমস্যা দূর করা, রাজকোষের ঘাটতিকে সামলানো, আর্থিক বৃদ্ধি আরও বাড়ানো, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে আর্থিক অসাম্য দূর করা। আরও একটি দিক রয়েছে যা হল, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’র ভাতা, এবং কর ছাড়ের বিষয়টি। কোভিড পরিস্থিতিতে এমন অনেক কিছুর খরচ বেড়েছে যা আগে ছিল না। বাড়ি থেকে কাজ করায় কর্মীদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ বিল আগের চেয়ে এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। ২০২০ সালের আগে এমন কিছু পরিস্থিতি ছিল না। তাই চাকরিজীবীদের একটি অংশ মনে করে যে, তাদের কোম্পানি যদি ভাতা না দিতে পারে তাহলে সরকারের কিছু কর ছাড় দেওয়া উচিত। সেই আশাতেই এখন রয়েছে চাকরিজীবীদের একটা বড় অংশ।