Aajbikel

হাতে সময় কম! দুমড়ে-মুচড়ে নিকির শরীরটাকে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন সাহিল

 | 
নিকি সাহিল

নয়াদিল্লি: বিভৎস! গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার পর নৃশংস ভাবে নিকির শরীর দুমড়ে মুচড়ে ভরা হয়েছিল লাগেজ ব্যাগে৷ তার পর সেটি রেখে আসা হয় দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির ধাবায় আনা নীল রঙের নতুন ফ্রিজের মধ্যে৷ সেই ফ্রিজের দরজা খুলতেই বেরিয়ে আসে নিকি যাদবের দেহ৷ মাঝারি মাপের ফ্রিজে সমস্ত র‌্যাক খুলে ঢোকানো ছিল বেড়াতে যাওয়ার ওই ব্যাগ। সেই ব্যাগ খোলার পর প্রায় দুমড়ে-মুচড়ে ঢোকানো নিকির শরীরটা দেখতে পায় পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন নিকি যাদব হত্যার তদন্তকারীরা৷ 

আরও পড়ুন- সপাটে ব্যাট চালালেন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য, বল লাগল বিজেপি কর্মীর মাথায়! ভর্তি হাসপাতালে

সপ্তাহ তিনেক আগেই দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির মিত্রাওঁ গ্রামের বাইরে খোলা হয়েছিল ধাবাটি৷ ফলে সে ভাবে পরিচিত ছিল না৷ ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল হাতে গোনা। প্রায় বন্ধ ধাবার নতুন ফ্রিজে দিন কয়েকের জন্য প্রেমিকার মৃতদেহ রাখা নিয়ে বেশি ভাবেননি নিকির লিভইন পার্টনার সাহিল গেহলট৷ সাহিল নিজেও মিত্রাওঁ গ্রামেরই বাসিন্দা৷ তবে গোটা ঘটনাটাই ভাবা এবং তা বাস্তবায়িত করেছিলেন অত্যন্ত দ্রুততার মধ্যে। নিকিকে খুন করে তাঁর দেহ ফাঁকা ফ্রিজে ভরে বাড়ি ফিরে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে।

কিন্তু কিসের তাড়া ছিল সাহিলের? নিকি হত্যার তদন্তে নেমে একের পর এক জয় খুলছে পুলিশ। এক সংবাদ সংস্থাকে নিকি হত্যার এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘ঘটনাটি ঘটে ১০ তারিখ ভোরে। নিকি ওই দিনই গোয়া যাবেন বলে ঠিক করেন। টিকিট কাটতে নিজামউদ্দিন রেলস্টেশনে গিয়ে দেখেন টিকিট নেই৷ এর পর নিকির ইচ্ছা হয় হিমাচল প্রদেশে যাওয়ার৷ নিকিকে নিয়ে বাস ধরার জন্য কাশ্মীর গেটের উদ্দেশে রওনা হন সাহিল। সেখানেই ঝগড়া বাধে তাঁদের৷ মাথা গরম হসে যায় সাহিলের৷ গাড়িতে থাকা মোবাইলের তার দিয়েই শ্বাসরোধ করে খুন করেন প্রেমিকাকে। গোটা বিষয়টা যখন হচ্ছিল, তখন ক্রমাগত বাড়ি থেকে ফোন আসছিল সাহিলের মায়ের। কারণ বিয়ের জন্য একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ছিল তাঁর। এদিকে, সকাল ৯টা বেজে গেলেও বাড়িতে পৌঁছননি সিহিল।’’

ওই তদন্তকারী অফিসার আরও জানান, সকাল ৯টার সময়ে কাশ্মীর গেটে পৌঁছন সাহিল। নিকির মৃতদেহ নিয়ে সোজা ধাবার পথ ধরেন। রাস্তায় নিকির সমস্ত বেড়ানোর ব্যাগ ফেলে দেন এবং প্রেমিকার দেহ দুমড়ে মুচড়ে নিজের বেড়ানোর ব্যাগে কোনও মতে ভরে নেন৷ এর পর সেটি  ফ্রিজের ভিতর ঢুকিয়ে রাখে সাহিল। তার পর রওনা দেন বাড়ির পথে।

Around The Web

Trending News

You May like