পাটনা: নোভেল করোনার দৌলতে 'লকডাউন' কথাটা হঠাৎ করেই যেন খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে ঢুকে পড়ছে আমাদের রোজকার ব্যবহৃত শব্দগুলির মধ্যে। তবে এরমধ্যেই 'কোয়ারেন্টাইন', 'সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন' এমন দুটি শব্দের সঙ্গেও বিস্তারিত অর্থে পরিচয় হয়েছে। গোটা বিশ্বে এখন এই ধরণের শব্দগুলি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কোয়ারেন্টাইনের অর্থ হল সংক্রামনের সম্ভাবনা রয়েছে বা সংক্রামিত এমন ব্যক্তিদের ঘরবন্দী রাখা বা থাকা। প্রকৃত অর্থে এই কথাটির মানে বুঝতে পারেনি যারা বলা যায় সেই তাদের জন্যই এখন 'লকডাউন' মানে 'তালাবন্ধ'।
অর্থাৎ সরকারি নির্দেশ ও নিয়মবিধি মেনে দেশজুড়ে সবাইকে ঘরবন্দী থাকতে হবে। এখন এই পরিস্থিতিতে বিপদে পড়েছেন সেই পরিবারগুলি যাদের বাড়িতে সামাজিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। করোনা সংক্রামণের বিধিনিষেধ জানা সত্ত্বেও বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছেন। অগত্যা 'দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো'। সোমবার এভাবেই পাটনার এক বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল এবং যা কিনা পুরোটাই টেকনোলজির মাধ্যমে। ভিডিও কনফারেন্স করেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বর-কনে।
এদিন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের শাহিবাবাদ থেকে বরযাত্রী আসার কথা ছিল পাটনায়। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয় হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা। তাই আর কোনো উপায় না দেখে এইপদ্ধতির দ্বারস্থ হতে হয় দুটি পরিবারকে। ২৩ শে মার্চ ছিল পাটনার হাজী মুহাম্মদ আলাউদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া নাসরিনের বিয়ের দিন। পাত্র উত্তর প্রদেশের সাহিবাবাদের বাসিন্দা সামুদুল হাসানের ছেলে দানিশ রাজা। একদিনের মধ্যে দুটি রাজ্যই লকডাউনের আওতায় চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে শোভাযাত্রা সহযোগে বিয়ে করতে আসা বা বিয়েবাড়িতে জমায়েতের সব রাস্তাই যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন প্রযুক্তিই এই কাজটিকে সহজ করে তোলে।
#WATCH Bihar: 'Nikah' of a couple was performed through video conferencing in Patna yesterday, amid lockdown in the state due to #COVID19. pic.twitter.com/WtQaiZCuyH
— ANI (@ANI) March 24, 2020
ভিডিও কনফারেন্সিং এর সময় বর-কনে একে অপরের সামনে উপস্থিত ছিলেন। দুই সাক্ষী ও কাজীর উপস্থিতিতে দুজনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং বিবাহের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তারা আঁচ করেছিলেন যে এই লকডাউন এর সময়সীমা আরো বাড়তে পারে তাই পূর্বনির্ধারিত দিন অনুযায়ী অনলাইনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।