'লুপ লাইন'-এ ঢুকে পড়াই কি কাল হল? করমণ্ডল দুর্ঘটনা নিয়ে নয়া তত্ত্ব

বালেশ্বর: করমণ্ডল এক্সপ্রেস কী ভাবে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল তা নিয়ে এখন বিস্তর আলোচনা। নিশ্চিতভাবে কিছু রেলের তরফ থেকে জানান হয়নি এখনও। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হবে কিন্তু কেউ যেন এই নিয়ে রাজনীতি না করেন। যদিও দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনই নানা তত্ত্ব সামনে এসেছে। কেউ মনে করছেন, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস মূলত প্রথমে লাইনচ্যুত হয় এবং পাশের লাইনে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে। তার ফলে সেই ট্রেনের ইঞ্জিন উঠে যায় তারও পাশের ট্র্যাকে থাকা মালগাড়ির ওপরে। আবার কারোর মতে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস নিজেই মালগাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে। এইসবের মাঝে উঠে এল আরও এক তত্ত্ব। তা হল 'লুপ লাইন'।
বিষয় হয়, মেন এবং লুপ, এই দুই ধরনের লাইন থাকে। রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভুল লাইনে ঢুকে পড়ে ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আসলে মেন লাইনে ধরে ভুবনেশ্বরের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল এই ট্রেনের। কিন্তু ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশন পেরিয়ে 'ভুল করে' লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে সেটি। এই ট্র্যাকে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল একটি মালগাড়ি। তাতেই এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভুলের জেরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে যে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, মানুষের ভুলেই এই ঘটনা তা কার্যত স্পষ্ট হচ্ছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে রেল কোনও মন্তব্য করেনি এখনও।
আবার রেলের একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোনও সংঘর্ষ হয়নি। কোনও কারণে প্রথমে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেটি গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। এই সময় উল্টো দিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এই কামরাগুলিকে ধাক্কা মারে। ফলে একসঙ্গে তিনটি ট্রেনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।