নয়দিল্লি: ব্রিটেনের পর ভারতে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। ইতিমধ্যেই বিজয়ওয়াড়ার এক মহিলার শরীরে ওই স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। তিনি সম্প্রতি লন্ডন থেকে ফিরেছেন।
ওই মহিলা পেশায় শিক্ষিকা। লন্ডন থেকে ২১ ডিসেম্বর তিনি ভারতে আসেন। আরটিপিসিআরের করোনা পরীক্ষায় তাঁর শরীরে নতুন ধরনের এই করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। করোনা ধরা পড়ার পর তাঁকে দিল্লিতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, তিনি আইসোলেশন থেকে লুকিয়ে পালিয়ে যান। এর ফলে ভারতে এই নতুন ধরনের করোনার স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, ওই মহিলা দিল্লি থেকে রাজামুন্দ্রি যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরেছিলেন। বুধবার ওই মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর তাঁকে রাজামুন্দ্রির একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত আইসোলেশনে রয়েছেন ওই মহিলা। খুব স্বাভাবিকভাবেই ট্রেন সফরের সময় ওই মহিলা বহু সহযাত্রী ও ভেন্ডরের সংস্পর্শে এসেছেন। ফলে করোনার নতুন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রিটেনে সম্প্রতি এই নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। নতুন এই করোনার স্ট্রেন আগের থেকে ৭০ শতাংশ দ্রুত সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ব্রিটেন থেকে আসা সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে ভারত। ব্রিটেন থেকে যাঁরা ভারতে ফিরছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা ছাড়াও জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে। এই ভাইরাসের কবলে পড়েই ক্রমশ বাড়ছে ইংল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা। দু’সপ্তাহ ধরে আক্রান্তে গ্রাফ ক্রমশ উপরের দিকে উঠছে। তাই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জানান, ক্রিসমাসের সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল বলে তিনি দুঃখিত। কিন্তু এছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনও বিকল্প পথ নেই। লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে থ্রি-টায়ার সিস্টেমের নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এখানেই দেশের বেশিরভাগ মানুষের বাস। এবার এই জায়গাতেই ফোর-টায়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। নতুন এই লকডাউনে জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বাইরে একই সময় একজনের বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করা যাবে না।