নয়াদিল্লি: বুধবার রাজ্যসভার নবনির্বাচিত ৬১ জন সাংসদের মধ্যে ৪৫ জন সাংসদ শপথ গ্রহণ করলেন৷ তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন এম বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ এর মধ্য ছিলেন বিজেপি’র ১৯ জন সাংসদ৷ এদিন শপথ নেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া, শরদ পাওয়ার, দ্বিগ্বিজয় সিং, মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিত্বরা৷ এদিন বাংলায় ভাষায় শপথ গ্রহণ করেন আইনজীবী তথা বাম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য৷
এদিকে এদিন রাজ্যসভায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দেখা গেল প্রাক্তন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে৷ এছাড়াও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলামনবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি৷ গত মার্চ মাসেই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন সিন্ধিয়া৷ এদিন তাঁর সৌজন্য বিনিময়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়৷
করোনা পরিস্থিতির জেরে এই প্রথম আন্তঃঅধিবেশন চলাকালীন রাজ্যসভার চেম্বারে শপথ নিলেন সাংসদরা৷ নবনির্বাচিত এই ৬১ জন সাংসদের মধ্যে প্রথমবার উচ্চকক্ষে পা রাখলেন ৪৯ জন৷ পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন বাকি ১২ সাংসদ৷ এদিন ৪৫ জন সাংসদ শপথ নিলেও ডিএমকে এবং তৃণমূলের সাংসদরা শপথ নেননি৷ করোনা পরিস্থিতির জেরেই তাঁরা দিল্লি আসেননি৷ এই বছর করোনার কারণে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও একাধিক বিধিনিষেধ ছিল৷
পরিবারের একজন সদস্যকে নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সাংসদদের৷ এই নব নির্বাচিত সাংসদরা যাতে বিভিন্ন কমিটির বৈঠকে যেতে পারেন, সেই উদ্দেশেই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়৷ ইতিমধ্যেই পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির একধিক বৈঠক হয়েছে৷ কিন্তু শপথ না নওয়ায় সেই সকল বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তাঁরা৷ নবনির্বাচিত সাংসদদের মধ্যে অনেকেই শপথ পাঠ করানোর জন্য তাই আর্জি জানিয়েছিলেন৷
গত মার্চ মাসে ২০টি রাজ্যে শূন্যপদ তৈরি হয়৷ ৪২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন প্রার্থীরা৷ এর মধ্যে ২৮ জন প্রথমবার নির্বাচিত হন৷ বাকি ১৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়৷ এর মধ্যে প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে উচ্চকক্ষের সদস্য হন ১৫ জন প্রার্থী৷