ভোট যন্ত্রে কালী ছিটিয়ে নয়া প্রতিবাদ, বুথে উঠল ‘ইভিএম মুর্দাবাদ’

মুম্বই: ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানালেন বহু জন সমাজ পার্টির নেতা সুনীল কম্বে৷ ভোটের যন্ত্রের সামনে দাঁড়িয়ে সরাসরি আওয়াজ তুললেন, ‘ইভিএম মুর্দাবাদ৷ ইভিএম মেশিন নাহি চালেগা, নেহি চলেগা, নাহি চালেগা৷’ বুথের মধ্যে ঢুকে বিএসপি নেতার এই কাণ্ড দেখে হকচকিয়ে জান নিরাপত্তাকর্মীরা৷ পরে তাঁকে পাজাকোলা করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়৷

ভোট যন্ত্রে কালী ছিটিয়ে নয়া প্রতিবাদ, বুথে উঠল ‘ইভিএম মুর্দাবাদ’

মুম্বই: ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানালেন বহু জন সমাজ পার্টির নেতা সুনীল কম্বে৷ ভোটের যন্ত্রের সামনে দাঁড়িয়ে সরাসরি আওয়াজ তুললেন, ‘ইভিএম মুর্দাবাদ৷ ইভিএম মেশিন নাহি চালেগা, নেহি চলেগা, নাহি চালেগা৷’ বুথের মধ্যে ঢুকে বিএসপি নেতার এই কাণ্ড দেখে হকচকিয়ে জান নিরাপত্তাকর্মীরা৷ পরে তাঁকে পাজাকোলা করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়৷ করা হয় গ্রেপ্তার৷

জানা গিয়েছে, আজ অন্যান্য ভোটারদের মত ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি৷ নিজের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে যান ওই বিএসসি নেতা৷ কিন্তু আঙুলে কালী লাগানোর মুহূর্তেই ভোট কর্মীর হাত থেকে ছিনিয়ে নেন কালী বোতল৷ ভোটের কালি বোতল হাতে সরাসরি এগিয়ে যান ইভিএমের দিকে৷ সেখানেই ইভিএম যন্ত্রের সামনে কালী ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানান ওই ব্যক্তি৷ তোলেন স্লোগান৷ বলতে থাকেন, ‘ইভিএম মুর্দাবাদ৷’

স্লোগান দিতে দিতে ভোটের কালি ভোট ইভিএম বক্সে ছড়িয়ে দিতে থাকেন তিনি৷ একইসঙ্গে ভোট কর্মীদের দের লক্ষ্য করে কালী ছুড়তে থাকেন ওই ব্যক্তি৷ বিএসপি নেতার স্লোগান শুনে হকচকিয়ে ওঠেন পোলিং অফিসার থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও৷ পরিস্থিতি আকস্মিকতা ভুলে তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে আটক করার চেষ্টা করেন নিরাপত্তাকর্মীরা৷

পুলিশ এগিয়ে আসছে দেখেও দিতে থাকেন স্লোগান৷ অভিযুক্ত ওই যুবককে পাঁজাকোলা করে বুথের বাইরে নিয়ে চলে যান পুলিশ কর্মীরা৷ ইভিএমকে কালিমালিপ্ত করার দায়ে ওই বিএসপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ যদিও বহু জন সমাজবাদী পার্টির এই নেতা অভিনব প্রতিবাদ ভারতীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কেননা গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী দলের একাংশ ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট করানোর পক্ষেই সওয়াল করে এসেছিলেন৷ একইসঙ্গে ইভিএমের পাশাপাশি ভিভিপ্যাট গণনার দাবি তুলেছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু শীর্ষ আদালতে সেই দাবি খারিজ হয়ে যেতেই হতাশ হয়ে পড়েন বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা৷

২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইভিএম নয়, ব্যাটলের দাবিতে প্রচার শুরু করেন৷ সরাসরি ঘোষণা করেন, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন এখন থেকে ব্যালটে ভোট করানোর প্রস্তাব দেবে শাসক তৃণমূল৷ বিরোধীদের তরফে ইভিএমের কারসাজির অভিযোগ আগে জানানো হলেও নির্বাচন কমিশনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ইভিএম যন্ত্রে কারসাজি করা সম্ভব নয়৷ কোনও ব্যক্তি যদি কারসাজি করে দেখাতে পারেন, তাঁকে পুরস্কৃত করবে নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই চ্যালেঞ্জ অংশ নেননি কোনও বিরোধী দল৷ ফলে অথৈ জলে চলে যায় ইভিএম বাতিলের দাবি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 9 =