নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিল করার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর করা হয়েছে৷ সাধারণত কর দাতাদের শ্রেণিবিন্যাসের উপর ৩১ জুলাই বা ৩১ অক্টোবর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়৷ তবে এই বছর সময়ের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছুটা ছাড়৷
ইতিমধ্যে বিগত অর্থিক বছরের আয়কর রিটার্ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)। আয়কর রিটার্নের নতুন ফর্ম আনা হয়েছে৷ রয়েছে মোট সাতটি ফর্ম৷
ITR 1- (সহজ)- এটি সবচেয়ে সহজ ITR ফর্ম৷ এই ফর্মটি রয়েছে আবাসিকদের জন্য৷ যাঁদের বার্ষিক আয় ৫০ লক্ষের নীচে এবং বেতন, অন্তত একটি বাড়ি, সুদ কিংবা কৃষিক্ষেত্রে থেকে উপার্জন ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত, তাঁদের জন্য এই ফর্ম৷ একাধিক বাড়ি, ব্যবসা, পেশা থাকলে ITR 1 ফর্ম ব্যবহার করা যাবে না৷
ITR 2- যে করদাতা ব্যক্তি অবিভক্ত হিন্দু পরিবার (HUF) এবং যিনি কোনও ব্যবসা বা অন্য কোনও উদ্যোগ চালান না তাঁর জন্য রয়েছে আইটিআর-২৷ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনলাইনেই কর জমা দেওয়া যাবে।
ITR 3- যাঁরা করদাতা এবং অবিভক্ত হিন্দু পরিবার (HUF) কোনও ব্যবসা বা উদ্যোগ থেকে উপার্জন করেন শুধুমাত্র তাঁদের জন্য রয়েছে এই ফর্ম৷
ITR 4 (সুগম)- ব্যবসা বা পেশা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে এই ফর্ম ব্যবহার করা যাবে। ITR1 এবং ITR 4 ফর্মের ক্ষেত্রে ন্যূনতন ডিসক্লোজার প্রয়োজন৷
ITR 5 – যেসব করদাতা একক, HUF বা সংস্থা নন, অথবা ফর্ম ITR 7-এর আওতায় কর জমা করছেন না, তাঁদের জন্য রয়েছে এই ফর্ম।
ITR 6 – যেসব সংস্থা অনুচ্ছেদ ১১-র অধীনে কর ছাড় দাবি করছে, সেসব সংস্থা বাদে বাকিদের জন্য এই ফর্ম৷
ITR 7 – আয়কর আইনের অনুচ্ছেদ ১৩৯ (৪এ), ১৩৯ (৪বি), ১৩৯(৪সি), ১৩৯ (৪ডি), ১৩৯ (৪ই) বা ১৩৯ (৪এফ) এর আওতায় যাঁরা কর জমা দিচ্ছেন, এই ফর্ম তাঁদের জন্য৷
যে সকল করদাতার অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকা নগদ আমানত রয়েছে, ১ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল দিয়ে থাকেন এবং ২ লক্ষ বা তার বেশি টাকা বিদেশ ভ্রমণের জন্য খরচ করেন, তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক৷