হোম আইসোলেশনের পর করোনা টেস্ট দরকার? নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

হোম আইসোলেশনের পর করোনা টেস্ট দরকার? নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: গত বছরের থেকেও এ বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক প্রচন্ড বেশি। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। বহু মানুষ হাসপাতলে ভর্তি থাকলেও বাড়িতে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা অভাব নেই। সেক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানানো হল, এখন থেকে হোম কোয়ারেন্টিনের পর আর করোনা টেস্টের দরকার নেই।

এতদিন নিয়ম ছিল, ভাইরাস সংক্রামিত কোন ব্যক্তির শারীরিক সমস্যা গুরুতর না হলে তিনি হোম কোয়ারান্টিনে বা আইসোলেশনে থাকবেন। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আইসোলেশনে থাকার পর তাকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে। সেই নিয়মেরই বদল ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে, হোম আইসোলেশনে থাকার পর কোন ব্যক্তিকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে না। এর পাশাপাশি হোম আইসোলেশনে থাকার সময়ে কী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে এবং পরিবারের বাকিদের সংক্রমণ কিভাবে আটকাতে হবে সেই ব্যাপারেও বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, যে ঘরে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন সেটি খোলামেলা হতে হবে, এবং তাকে ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরতে হবে। বাড়ির বাকি সদস্যদের আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে আসতে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। 

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩,৮৬,৪৫২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩,৪৯৮ জনের। এই নিয়ে পর পর ৩ দিন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারালেন। এদিন পশ্চিমবঙ্গে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৪০৩ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। উল্লেখ্য, মৃত্যুর নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্বতালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল, তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। চার নম্বরে আমাদের দেশ ভারত। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে যে ভাবে মৃত্যু বেড়ে চলেছে তার মধ্যে ২৫ শতাংশ ভারতের! গত ২৮ এপ্রিল গোটা বিশ্বে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১২ হাজার ৩০৩ মানুষ, সেই দিন ভারতে মারা যান ৩ হাজার ২৯৩ জন। অর্থাৎ, বিশ্বে প্রতি চারজন মৃতের মধ্যে একজন ভারতীয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − fourteen =