সিকিম: হিমালয়ের কোলে ছোট্ট রাজ্য সিকিম৷ সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ পর্যটনের জন্য বিখ্যাত সিকিম৷ তারপরেও কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ উত্তররপূর্বের এই ছোট্ট রাজ্যের নাগরিকরা সরকারি আইনকে মান্যতা দিয়ে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ এবার সিকিমের বাসিন্দাদের সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করতে অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটন বন্ধ করা হল৷ অর্থাৎ অক্টোবর পর্যন্ত দেশি বা বিদেশি কোনও পর্যটক সিকিমে প্রবেশ করতে পারবেন না৷
মার্চ মাসের তখন পাঁচ তারিখ৷ ভারতে তখনও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি৷ কিন্তু বিদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সিকিম৷ মার্চের ১৭ তারিখ, তখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে৷ পরিস্থিতি বুঝে সিকিম সরকার সমস্ত পর্যটকদের জন্য তাদের দরজা বন্ঝ করে দিয়েছিল৷ আগাম সতর্কতার ফল হাতে নাতে পেয়েছে সিকিম৷ এখনও পর্যন্ত সিকিমের কোনও বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি৷ এবার আগাম সতর্কতা হিসেবে সিকিমের সরকার অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য তাদের দরজা বন্ধ করে দিল৷
সিকিমের রাজ্যপাল গঙ্গা প্রসাদ জানিয়েছেন, সিকিমের প্রায় সাত লক্ষ বাসিন্দা বাস করেন৷ তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ সিকিমের পর্যটনের ওপরে তাদের অর্থনীতি অনেকটা নির্ভর করে৷ তবে আগে রাজ্যের মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা৷ তারপরেই অন্য কিছু বলেও সিকিম প্রশাসন মনে করছেন৷ সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে ভিন রাজ্যের অনেক শ্রমিক আটকে পড়েছেন৷ তাঁদের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে৷ সিকিম সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে সমস্ত আটকে পড়া শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে৷ তাছাড়াও দৈনন্দিন কিছু টাকা দেওয়া হচ্ছে৷
সিকিম সরকার মনে করছে, আগাম সতর্কতা না নিলে হিমালয়ের কোলে থাকা ছোট্ট রাজ্যটিতে করোনার ভয়াবহ থাবা পড়তে পারত৷ জানুয়ারি থেকেই চিনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া সিকিমের তরুণ তরুণীরা ফিরতে থাকেন৷ বিমান বন্দর থেকে তাদের জন্য পরীক্ষার আলাদা ব্যবস্থা করলেও সিকিম সরকারের তরফে তাদের আলাদা ব্যবস্থা করা হয়৷ সিকিমে প্রবেশ করার পর, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়৷ সকলের করোনা পরীক্ষা করা হয়৷ রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই তাদের ঘরের বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যপাল গঙ্গাপ্রসাদ বলেছেন৷