নয়াদিল্লি: করোনা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দেওয়ার পরই টনক নড়ল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের! শনিবার কমিশনের তরফে জারি করা নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড নিয়ম না-মানলে প্রয়োজনে প্রার্থী ও প্রচারকারীদের মিছিল, জনসভা বাতিল করা হবে। গত ৬ এপ্রিল তিন রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার তিন দিন পর ১০ এপ্রিল করোনা নিয়ে এই নির্দেশিকা জারি করল কমিশন৷
এই নতুন নির্দেশিকায় কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, ভোট প্রচারে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মগুলি না মানলে রেয়াত করা হবে না বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিখ্যাত ক্যাম্পেইনারদেরও। প্রয়োজন হলে নিষিদ্ধ করা হতে পারে তাঁদেরও৷ কমিশনের নির্দেশিকা মেনে নির্বাচনী প্রচার ও জনসভায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরার নিয়মগুলি মানা হচ্ছে না। কমিশনের কাছে এই সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘বেশ কিছু জায়গায় যে একেবারেই মানা হচ্ছে না করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা, তা কমিশনের নজর এড়ায়নি৷ এমনকী প্রচারকর্মী, রাজনৈতিক নেতা ও প্রার্থীরা নিজেরাই প্রচারের সময় মঞ্চে মাস্ক পরছেন না, এমন ছবি বারবারই ধরা পড়েছে টেলিভিশনের পর্দা ও বিভিন্ন মাধ্যমগুলোতে৷ এজন্য রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং জনসভায় অংশগ্রহণকারী জনতার মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবল ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে ৷ তাই এবার থেকে কমিশনের নির্দেশিকা না মানলে, প্রার্থী বা দলের জনসভা, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে দ্বিধা করবে না কমিশন৷ নয়া নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার করোনা নামক অতিমারিতে নির্বাচন বন্ধ করা ও কোভিড নিয়ম না মানার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনেই পিপিই পরে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানান আমজনতা। একটি অরাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ৮ – ১০ জন এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন। করোনা পরিস্থিতিতে ভোট করতে কোভিড বিধি মেনেই তা সম্পন্ন করার কথা বারবার বলেছে নির্বাচন কমিশন৷ সেইমতো আগে থেকেই সব ভোটকর্মীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু জনসভাগুলোতে মানুষ যাবতীয় কোভিড নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জনজোয়ারে গা ভাসাচ্ছেন। আর এতেই দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই রাশ টানতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন।