নয়াদিল্লি: এবার রেডিয়েশন বা বিকিরণ রুখবে গোবর৷ এমনই দাবি রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাথিরিয়ার৷ তাঁর কথায়, রেডিয়েশন প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে বিশুদ্ধ গোবরের মধ্যে৷ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তা প্রমাণিত বলেও দাবি তাঁর৷
আরও পড়ুন- ১৪ দিনের মেয়েকে কোলে নিয়েই কাজে ফিরলেন এই IAS অফিসার
সারা দেশব্যাপী ‘কামধেনু দীপাবলি অভিযান’-এর উদ্বোধন করার সময় বিশুদ্ধ গোবরকে ‘অ্যান্টি-রেডিয়েশন’ বলেই দাবি করেন কাথিরিয়া৷ গোবর থেকে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর প্রচারের মাঝেই তিনি গোবর থেকে তৈরি এই চিপ তুলে ধরেন৷ কাথারিয়া বলেন, ‘‘গোবর থেকে সব ধরনের জিনিস তৈরি করা সম্ভব৷ এটি বিকিরণ প্রতিরোধকারী৷ এটা বিজ্ঞানসম্মত। এটি একটি ‘রেডিয়েশন চিপ’৷ যা আপনারা আনাদের মোবাইল ফোনে ব্যবহার করতে পারবেন৷ এর ফলে উল্লেখজনক ভাবে রেডিয়েশন রোধ করা সম্ভব হবে৷ রোগের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে এই চিপ ব্যবহার করে দেখতে পারেন৷’’ তাঁর কথায়, মোবাইল ফোনে রেডিয়েশন রয়েছে। ফোনে কথা বলার সময় শরীরে সেই রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। কিন্তু, গোবরে প্রস্তুত চিপ ফোনে ব্যবহার করলে, সেই বিকিরণ শরীরের বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে না। রেডিয়েশনের ক্ষতিকারক প্রভাব রুখে দেবে।
এই অভিনব চিপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গৌসত্ব কবচ’। এটি তৈরি হয়েছে রাজকোটের শ্রীজি গৌশালাতে৷ ২০১৯ সালে স্থাপিত হয় রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। এটি কেন্দ্রীয় পশুপালন ও গবাদিপশু মন্ত্রকের অধীন একটি সংস্থা। ভারতের গবাদিপশু নিয়ে কাজ করে কেন্দ্রীয় এই সংস্থাটি। গরুর সংরক্ষণ, সুরক্ষাই আয়োগের লক্ষ্য। উৎসবের মরশুমে গোবরজাত পণ্য ব্যবহারে উৎসাহ দিতেই তারা শুরু করেছে এই প্রচার অভিযান।
আরও পড়ুন- চিন ও পাকিস্তানকে মোকাবিলা করতে উদ্যোগ, সীমান্তে ৪৪টি সেতুর উদ্বোধন রাজনাথের
চিপের পাশাপাশি এদিন গোবরের তৈরি ল্যাম্প, মোমবাতি, ধূপকাঠিও উদ্বোধন করেন কাথিরিয়া৷ কাথিরিয়া বলেন, আসন্ন দিওয়ালিতে ১১ কোটি পরিবারের কাছে গোবরের তৈরি ৩৩ কোটি প্রদীপ পৌঁছে দেওয়াই রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের লক্ষ্য৷ কাথারিয়া আরও বলেন, ‘‘ দিন কয়েক আগে আপনারা নিশ্চয় অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে গোমূত্র পান করতে দেখেছিলেন৷ আপনারাও পান করে দেখতে পারেন৷ এটা একটা ওষুধ৷ কিন্তু আমরা আমাদের বিজ্ঞানকে ভুলে গিয়েছি৷’’ প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও গোমূত্র পান করার সুপারিশ করেছিলেন৷