বায়ুসেনার শক্তি বাড়িয়ে আসছে নয়া কপ্টার, কী সুবিধা থাকছে তাতে?

ভারতীয় বায়ুসেনা -র ঘরে নতুন অতিথি। কার্গো এবং সেনা জওয়ানদের আকাশপথে বহনের জন্য মার্কিনী চিনুক হেলিকপ্টার পেল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স। ফিলাডেলফিয়ায় ‘ইন্ডিয়া-চিনুক ট্রান্সফার সেরিমোনি’তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূত হর্ষ শ্রীঙ্গলার উপস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা -র হাতে তুলে দেওয়া হয় এই হেলিকপ্টার। ভারতীয় বায়ুসেনা -র চুক্তিঃ ২০১৫ সালে ২২টি AH-64E অ্যাপাচে হেলিকপ্টার এবং ১৫টি CH-47F(I) চিনুক হেলিকপ্টার ক্রয়ের

বায়ুসেনার শক্তি বাড়িয়ে আসছে নয়া কপ্টার, কী সুবিধা থাকছে তাতে?

ভারতীয় বায়ুসেনা -র ঘরে নতুন অতিথি। কার্গো এবং সেনা জওয়ানদের আকাশপথে বহনের জন্য মার্কিনী চিনুক হেলিকপ্টার পেল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স। ফিলাডেলফিয়ায় ‘ইন্ডিয়া-চিনুক ট্রান্সফার সেরিমোনি’তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূত হর্ষ শ্রীঙ্গলার উপস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা -র হাতে তুলে দেওয়া হয় এই হেলিকপ্টার।

ভারতীয় বায়ুসেনা -র চুক্তিঃ

২০১৫ সালে ২২টি AH-64E অ্যাপাচে হেলিকপ্টার এবং ১৫টি CH-47F(I) চিনুক হেলিকপ্টার ক্রয়ের জন্য আমেরিকার বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় মোদী সরকার। সূত্রের খবর, চলতি বছরেই প্রত্যেকটি হেলিকপ্টার পেতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের মোট ১৪টি দেশের বায়ুসেনার ভান্ডারে রয়েছে এই চিনুক হেলিকপ্টার। ১৯৬২ সাল থেকে CH-47 চিনুক কপ্টার ব্যবহার করছে আমেরিকা। অন্যদিকে, ইউএস, ইজরায়েল, চিন, ব্রিটেন সহ একাধিক দেশের কাছে অ্যাপাচে কপ্টার থাকলেও ছিল না ভারতের। তবে এবার অন্যান্য দেশের মতো এই সমস্ত কপ্টার ব্যবহারের সুযোগ পাবে ভারতীয় বায়ুসেনা-ও।

চিনুক ও অ্যাপাচে কপ্টারঃ

CH-47F(I) হল চিনুক হেলিকপ্টারের নয়া সংস্করণ। প্রায় ১০ টন পণ্য বহনে সক্ষম এই কপ্টার। ঘন্টায় ১৭৫ মাইল গতিতে প্রায় ৬ হাজার কিমি উঁচুতে উড়তে পারে এটি। সুতরাং এই অত্যাধুনিক কপ্টার পাওয়ার ফলে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠল ভারতীয় বায়ুসেনা।

একইসঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের অফসেটের বরাতও পেয়েছে ভারত। অর্থাৎ, এবার থেকে চিনুকের পরিকাঠামোর নানা সরঞ্জাম তৈরি হবে এ দেশেই। সেইসঙ্গে অ্যাপাচে এবং চিনুক কপ্টার ব্যবহারে যথাক্রমে ১৪ এবং ১৯তম দেশ হিসাবে উঠে এল ভারতের নাম।

আধুনিকীকরণঃ     

এদিকে, এই সমস্ত অত্যাধুনিক চিনুক এবং অ্যাপাচে হেলিকপ্টার ব্যবহারে সড়গড় নয় ভারতীয় বায়ুসেনা। সেকারণে তাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে মার্কিন সংস্থা ‘বোয়িং’ স্বয়ং। ইতিমধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইউএস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছেন ভারতীয় বায়ুসেনা -র ৪ জন পাইলট এবং ৪ জন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার।

পর্যালোচনাঃ

প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যে রাশিয়া, ফ্রান্স এবং আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হয়ে উঠেছে তিনি। এদিনের এই নয়া সংযোজন ভারতীয় বায়ুসেনায় এক নয়া মাত্রা যোগ করে দিল তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *