আগরতলা: সামাজিক দুরত্ব বিএসএফের জওয়ানরা মানতে পারছেন না, তার জেরেই ব্যাপকহারে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যে। এমনটাই দাবি করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সোমবার ত্রিপুরাতে ১০৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া গিয়েছে। করোনা আক্রান্তদের বেশিরভাগ বিএসএফের জওয়ান ও তাদের পরিবারের সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
৫ মে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ত্রিপুরায় ছিল ৪৪। এখন রাজ্যে ৪২০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ১৬৬ জন বিএসএফের জওয়ান ও তাঁদের পরিবারের সদস্য বলে একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে। ত্রিপুরায় বিএসএফ-এর ১৩৮ ও ৮৬ ব্যাটালিয়ন রয়েছে। এই দুই ব্যাটেলিয়নে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিএসএফের আইজি সলোমন মিঞ্জকে একটা রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল সাত দিনের মধ্যে। কিন্ত সেই রিপোর্ট আসেনি। তিন সদস্যের একটি টিম ত্রিপুরাতে আসেন। বিএসএফের জওয়ানদের শরীরে কীভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা দেখে। সেখানেই এই রিপোর্ট উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে।
বিপ্লব দেব জানান, বিএসএফের কয়েকজন জওয়ান ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বাইরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে তাঁরা যাননি। যার জেরে এইভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে তিনি মনে করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরার গ্রামের মানুষ করোনা ভাইরাস নিয়ে খুব সচেতন। তাই ত্রিপুরার গ্রামে করোনা ভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার কোনও আশঙ্কা নেই। যদিও বিএসএফের প্রবীণ আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ার থেকে তাঁরা খুব সতর্ক। যতটা পারা যায় সাধারণ নাগরিককে তাঁরা এড়িয়ে চলছেন। পিটি বা শরীর চর্চার বিষয় থেকেও তাঁরা এড়িয়ে চলছেন। তবে তিনি বিপ্লব দেবের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু বলতে চান না।