জমজমাট প্রেক্ষাগৃহ এখন কোভিড কেয়ার, উপসর্গহীনদের দেখভালে নয়া সেন্টার

জমজমাট প্রেক্ষাগৃহ এখন কোভিড কেয়ার, উপসর্গহীনদের দেখভালে নয়া সেন্টার

 
বেঙ্গালুরু: শহরের ঠিক শেষ প্রান্তে প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এক্সজিবিশন সেন্টার। শহরের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও বাণিজ্যক কর্মকাণ্ডের স্থল এই এলাকা। তবে করোনার জেরে সেসব কর্মকাণ্ড আপাতত স্থগিত ফলে৷ এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এখন রূপান্তরিত হয়েছে শহরের সবচেয়ে বড় কোভিড ১৯ কেয়ার সেন্টারে। শহরের কর্পোরেশন বিবিএমপি-র যুগ্ম কমিশনার জানিয়েছেন সেন্টারে সেইসব উপসর্গহীন রোগীরা থাকবেন যাদের ওপর বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন নেই।

 

যুগ্ম কমিশনার সরফরাজ খান জানিয়েছেন ওই রোগীদের যত্ন এবং কোয়ারেন্টিন প্রয়োজন তাই সরকারের তরফে বিনা খরচে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যার ফলে তৈরী হওয়া চিকিৎসা সঙ্কট কিছুটা হলেও এই কেয়ার ইউনিট কাটাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেঙ্গালুরু শহরের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যেই ২০০ থেকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট নটি সেন্টার রয়েছে, যার প্রতিটিই ভর্তি। এই স্থান উপসর্গহীন রোগীদের অনেকটাই আশ্বস্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। মিস্টার খান জানিয়েছেন যদি কোনও হাসপাতালে এমন কোনও রোগী থেকে থাকেন তবে তারা এখানে আসতে পারেন। পাঁচটি বড় সভাগৃহের প্রতিটিকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এক একটি ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় সভাগৃহটিতে ১৬০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ভালো মানের খাবার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকের কাছে থেকে পাওয়া নির্দেশ অনুযায়ী এখানে খাবার দেওয়া হচ্ছে।

সারাদিনে এখানে চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ, মার্শাল, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মীসহ প্রায় ৫০০ কর্মী কাজ করেন। হাসপাতালের কঠিন বর্জ্য সংক্রমণের জন্য এখন মেডিক্যাল বর্জ্য হিসাবে দেখা হচ্ছে ফলে সেসবের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতালের ১০ হাজার শয্যাতেই একসঙ্গে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। আপাতত সেখানে ৫ হাজার রোগী রয়েছেন। আপাতত সাড়ে ৬ হাজার শয্যা রোগী ভর্তির জন্য রাখা হয়েছে। দেড় হাজার শয্যা থাকছে কর্মীদের জন্য। চিকিৎসক এবং নার্সরা একসঙ্গে টানা ১০ দিন কাজ করছেন এবং চারদিন করে নিজেদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন। তিন শিফটে ১০০ রোগী প্রতি ১জন চিকিৎসক ও দুজন নার্স থাকছেন। রোগীদের সময় কাটানোর জন্য এখানে রয়েছে ইন্ডোর গেমের ব্যবস্থা। রয়েছে সিসিটিভি ও পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =